১২০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করার দাবি হ্যাকারের, সত্য না মিথ্যা
Published: 26th, May 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রায় ১২০ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার দাবি করেছে ‘বাইটব্রেকার’ নামের এক হ্যাকার। বাইটব্রেকার জানিয়েছেন, ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস বা এপিআইয়ের একটি দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তিনি এই বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সাধারণত এপিআইয়ের মাধ্যমে অনুমোদিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোয় ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দেখা গেলেও তিনি বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। শুধু তা–ই নয়, প্রাথমিকভাবে প্রায় এক লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির জন্য প্রকাশও করেছেন।
তথ্য চুরির ঘটনাটি সত্য হলে এটি হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক সবচেয়ে বড় সাইবার হামলার ঘটনা। এর আগে ২০২১ সালে ফেসবুকের ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর এবং ২০২২ সালে লিংকডইনের ৭০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়েছিল। তবে বাইটব্রেকারের দাবি অস্বীকার করে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, এটি নতুন কোনো তথ্য ফাঁসের ঘটনা নয়। ২০২১ সালে ফাঁস হওয়া তথ্যগুলোই নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি তখনই ব্যবহারকারীদের জানিয়েছিলাম এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনফেসবুকে ভিডিও নির্মাতাদের আয়ের পথ সহজ হচ্ছে০৫ অক্টোবর ২০২৪সাইবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান হ্যাকরিড জানিয়েছে, বাইটব্রেকার যে এক লাখ ব্যবহারকারীর তথ্যের নমুনা প্রকাশ করেছেন, তার অনেক অংশই ২০২১ সালের ঘটনার সঙ্গে মিলে গেছে। বাইটব্রেকারের তথ্যমতে, ১২০ কোটি অ্যাকাউন্টের তথ্য মাত্র ২০ কোটি ‘রো’ বা সারিতে সংরক্ষণ করা রয়েছে। কিন্তু তথ্যভান্ডারের প্রযুক্তিগত গঠনের দিকে নজর দিলে বোঝা যায়, সাধারণত একজন ব্যবহারকারীর তথ্য একটি সারিতে রাখা হয়। তাই ১২০ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য ১২০ কোটি সারি হওয়া স্বাভাবিক। এই গরমিলের কারণে বিশেষজ্ঞরা বাইটব্রেকারের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের তথ্য চুরি শুধু গোপনীয়তাই নয়, ব্যবহারকারীর আর্থিক নিরাপত্তা ও পরিচয়গত সুরক্ষার ওপরও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইনে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রথমেই ফেসবুকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। যদি কোনো অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেটিও দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু করা উচিত। একই সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন নজরে রাখা প্রয়োজন।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ইটব র ক র অ য ক উন ট ফ সব ক র ব যবহ র ১২০ ক ট কর ছ ন র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
এখন মাথাপিছু আয় ২৮২০ ডলার, যা যাবৎকালের রেকর্ড
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। এই মাথাপিছু আয় এ যাবৎকালের রেকর্ড। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য দিয়েছে। গত অর্থবছরের চেয়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৩৮ ডলার।
আজ মঙ্গলবার বিবিএস ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাময়িক হিসাব দিয়েছে। সেখানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৭৯৩ ডলার মাথাপিছু আয় হয়েছিল। এরপর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে বাড়েনি।
মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব করা হয়।
বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ ডলারে। গত অর্থবছরে তা আরও কমে ২৭৩৮ ডলার হয়।
মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য হয়। চলতি অর্থবছরের বিবিএসের মাথাপিছু আয় হিসাব করতে প্রতি ডলারের গড় বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১২০ টাকা ২৯ পয়সা। গতবার এই বিনিময় হার ধরা হয়েছিল ১১১ টাকা ৬ পয়সা।
চলতি অর্থবছরে টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২২১ টাকা। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা।