পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের দিনেও ব্যস্ত তাঁরা

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী শহর ঢাকা। ঈদ উদ্‌যাপনের জন্য এই ছুটিতে নগরবাসীর একটি অংশ ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে এই ছুটিতেও অনেককেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ফলে ঈদের দিনেও ব্যস্ত তাঁরা।

রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এ মোড়ে ঈদের দিনেও হাতের ইশারায় গাড়ি চলাচলে নির্দেশনা দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মেহেদি হাসান। বেলা দুইটার দিকে তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদ কিংবা পার্বণ হোক অথবা অন্য কোনো ছুটি হলেও আমাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবার নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করতে হয়।’

ঈদে বা উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থাকার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাজধানীর তেজগাঁও জোনে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্য বলেন, ‘এখন তো চাইলেও দায়িত্বের জন্য অনেক কিছুই করা যায় না। কিছু করার নেই। আমাদের পেশাটাই এমন—দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।’

বিজয় সরণি মোড় পার হয়ে একটু সামনে আসতেই সড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আমির হোসেন। জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘আজকে মালিক জমা (অটোরিকশার ভাড়া) ছাড়াই গাড়ি দিয়েছে। আর ঈদে যদি একটু বেশি ভাড়া পাওয়া যায়, তাহলে তো ভালোই হবে। সে জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।’

ঈদের ছুটিতেও নিরলসভাবে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক অনিরুদ্ধ মজুমদারকে। হাসপাতালেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে সেবাটাই বড় বিষয়। এখানে উৎসব বা উদ্‌যাপনের বাইরের সময় বিচার করার সুযোগ নেই। আমাদের এটাকে দেখতে হয় দায়িত্ব হিসেবে।’

ছুটি মেলে না সব সংবাদকর্মীরও। সময়ের খবর নির্ভুলভাবে সবার কাছে তুলে ধরার দায়িত্বে থাকেন তাঁরা। তেমনই একজন শফিকুল আলম। দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন এই তরুণ সাংবাদিক।

শফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার ঈদ একরকম নয়। সাংবাদিকতার মতো পেশায় যাঁরা, তাঁদের অনেকের ঈদের দিনটিও কাটে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। সংবাদ সংগ্রহ, রিপোর্টিং, লাইভ আপডেট—সবকিছুই চলতে থাকে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ