মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকে বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন
Published: 19th, June 2025 GMT
মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, মিনুস্কাতে নিয়োজিত কন্টিনজেন্টের সদস্যগণকে ১২৫ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রতিস্থাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১২৫ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) বৃহস্পতিবার আফ্রিকান রিপাবলিকের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাহিনীর এই আর্মড মিলিটারি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিটের নেতৃত্বে আছেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান। সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের বিদায় জানান।
বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুন্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরও উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ন ত রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু
ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির অধিকাংশই নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। এরই মধ্যে দেশে ফিরে আসতে ১০০ জনের মতো দূতাবাসে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের তালিকা চূড়ান্ত করে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোক বলেন, তেহরানে ৪০০ জনের মতো বাংলাদেশির মধ্যে এ পর্যন্ত ১০০ জন যোগাযোগ করেছেন। এখন তাঁদের কীভাবে কোন পথে ফেরানো যায়, সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে ফেরত আনার অংশ হিসেবে পাকিস্তান কিংবা তুরস্কে নেওয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে যে দেশ থেকে ফেরানো সুবিধা তৃতীয় ওই দেশ থেকে লোকজনকে দেশে ফেরানো হবে।
সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস হটলাইন চালু করায় দেশে ফিরতে আগ্রহীদের সংখ্যা ইরানের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বাড়তে পারে। বর্তমানে ইন্টারনেট বন্ধ আছে, তবে টেলিফোনে সম্ভবত যোগাযোগ চালু আছে। বাকিদের তথ্য দূতাবাসের কাছে নেই, তবে যেহেতু হটলাইন চালু আছে, তাঁরা চাইলেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’
তেহরানের বাইরে বাংলাদেশিদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্দর আব্বাসে বাংলাদেশি আছেন। যদিও সেখানে (বন্দর আব্বাস) তাঁরা এখনো যুদ্ধাক্রান্ত হননি। তাঁরা যদি ভবিষ্যতে সহায়তা চান, তাহলেও দেওয়া হবে।
ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খানের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তেহরানে ইসরায়েলের নানামুখী হামলা হলেও সেখানকার কেন্দ্রস্থল ইউসেফ আবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে।
তবে কর্মকর্তারা জানান, ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আজ সকাল থেকে দূতাবাসের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবার এবং প্রবাসী কর্মকর্তারা যাঁরা তেহরানে ছিলেন, তাঁরাও নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। দূতাবাস তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।