জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান, স্ত্রী ও ভাই-বোনদের জন্য কোটা রয়েছে। পরীক্ষায় পাস করলেই পোষ্যরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তির সুযোগ পান। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যতজন আবেদন করেন, ততজনকেই ভর্তি করা হয়। এবার অবশ্য পোষ্য কোটায় প্রতি বিভাগে চারজনের বেশি ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। ফলে ৩৭টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সর্বোচ্চ ১৪৮ জন পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন। বিগত পাঁচ বছরে পোষ্য কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সর্বনিম্ন ৫৩, সর্বোচ্চ ৫৯ জন ভর্তি হয়েছেন। 

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকতেই হবে। পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে আসন ও সম্পর্কের ধরন সীমিত করা যেতে পারে। .

..একেবারে বাদ দেওয়া কঠিন হবে।আনু মুহাম্মদ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য 

দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে কোটা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। কোথাও কোথাও আন্দোলন হচ্ছে। বিশেষ করে পোষ্য কোটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারীরা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়—এই আট বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে ১১ ধরনের কোটার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা রয়েছে। সাতটির মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি পোষ্য কোটা আন্দোলনের মুখে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এখন পোষ্য কোটা ফেরাতে আন্দোলন করছেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। 

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাবি ছাত্রদলের ১৫ নেতাকে অব্যাহতি

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের ১৫ জন নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

‎শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক দায়িত্ব অবহেলার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হাসান, মাসুম রাহাত, রাজীব হাসান, সাহানুর রহমান এবং সদস্য নূর হোসেন, ইসমাইল হোসেন বাকি, ফিরোজ আহমেদ রানা, তানভীর হোসেন, রিহাব হোসেন, ইমরান হোসেন, আবির হাসান, আতিকুর রহমান আকাশ, খন্দকার সাকিব আনজুম শারফি, সুলতান আহমেদ, ও নাসির উদ্দিন মিয়াকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

আরো পড়ুন:

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ছাত্রশিবিরের ৫ দফা

জাবির গণিত বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের

তবে এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

‎গত ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের ( (২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন বাবরকে আহ্বায়ক ও ৪০তম ব্যাচের (২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ওয়াসিম আহমেদ অনিককে সদস্যসচিব করে ১৭৭ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাটি, মূর্তি ও মানস: অতীত ঐতিহ্যের নান্দনিক ছবি
  • নাসিরনগরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত
  • নাসিরনগরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত
  • জাবি ছাত্রদলের ১৫ নেতাকে অব্যাহতি