ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের বরিশাল বিভাগীয় পর্ব আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরের ঐতিহ্যবাহী বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বরিশাল শাখার ব্যবস্থাপক মো.

আলমগীর হুমায়ূন এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন বরিশালে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবদুল মোতালেব বলেন, ‘জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের গড়ে তুলবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। তোমাদের আগে অনেকেই গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছে। তোমরাও একদিন বড় জায়গায় পৌঁছাবে। এ জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক আবদুল মোতালেব বলেন, একটি যুক্তিনির্ভর, বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম যেকোনো জাতির জন্য সম্পদ। প্রথম আলো এই কাজ করে জাতি গঠনে অনন্য একটি কাজ করছে। সংবাদপত্র যে শুধু সংবাদ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করে, প্রথম আলো সেই ধারণা বদলে দিয়েছে। প্রথম আলো প্রমাণ করেছে, একটি সংবাদপত্র শুধু সংবাদ নয়, জাতি গঠনেও সাধ্যমতো ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্যই প্রথম আলো অনন্য।

গণিত উৎসবে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থী। শনিবার সকালে বরিশাল নগরের বিএম স্কুল মাঠে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে সমাবেশ ও স্মারকলিপি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে সমাবেশ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করে সচিবালয়ের গেটে যান জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনের নেতারা। পরে তাঁদের প্রতিনিধিরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এই দাবিতে শনিবার বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে দেশের অন্যতম ২৩টি সাংস্কৃতিক, সামাজিক, শিক্ষক, ছাত্র ও শিশুসংগঠনের জোট ‘জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন’ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। এ সময় জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক ও উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ মহলের চাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের গেজেটকৃত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।’

মাহমুদ সেলিম আরও বলেন, ‘শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি ও শরীরচর্চার যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তা বিশ্বের সব শিক্ষাবিদ ও মনস্তত্ত্ববিদ দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। আমরা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। একই সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি করছি।’

কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবু সাঈদ বলেন, ‘যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই চলতি বছরের গত ২৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার প্রজ্ঞাপনের শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ২ নভেম্বর সেই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়। এটি একটি আত্মঘাতী ও পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ–সবল জাতি গঠনে অন্তরায়। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত একটি মনন-বোধ-বিবেক-বুদ্ধিহীন রোবট প্রজন্ম গড়ার ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করারই শামিল।’

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, ‘উচ্চতর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যেসব শিশু সৃজনশীল কাজের সুযোগ পায়, তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষা বন্ধের দাবি করে একটি মেধাহীন, বোধহীন প্রজন্ম গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ তিনি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরেই সংগীত, চারুকলা ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়কে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে নেতাদের মধ্যে মাহমুদ সেলিম, আবু সাঈদ ও মকবুল হোসেন সচিবালয়ে প্রবেশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। পরে তাঁরা সাংবাদিকদের জানান, উপদেষ্টা এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, নজরুলসংগীত শিল্পী পরিষদ, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ, বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ, রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র, শিল্পকলা বিদ্যালয় ঐক্যজোট, বাংলাদেশ বাউল ও লোক শিল্পী সংস্থা, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ভয়েস অব আর্টিস্ট, প্রাচ্যনাট, বিশ্ববীণা, আনন্দন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গান-গল্প-আড্ডায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সাফল্য উদ্‌যাপন
  • আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল উৎসব এবার রাজশাহীতে
  • ওয়েস্টিনে ‘টেস্ট অব অ্যারাবিয়া’ উৎসব শুরু
  • শেরপুরে হাজং জনগোষ্ঠীর ‘নয়া খাওয়া’ নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন
  • বাবার হাত ধরে বোনের উৎসবে ‘স্বপ্ন বুনতে’ এসেছিল অহনা
  • খুলনায় প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব
  • জাবির ৪৫তম ব্যাচের রাজা–রানী নির্বাচন শুক্রবার
  • সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে সমাবেশ ও স্মারকলিপি