শেখ হাসিনার ভাষণের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
Published: 6th, February 2025 GMT
ভারতের আশ্রয়ে থেকে শেখ হাসিনার গতকাল বুধবার রাতে দেওয়া ভাষণের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন বলে সংগঠনটি মনে করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব কথা বলে।
বিবৃতি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, জাতীয় বেইমান, পলাতক ফেরারি আসামি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে হাসিনা-মোদির এই যে চক্রান্ত, জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, জুলাই ২৪–এর ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শৃঙ্খল থেকে, আওয়ামী-বাকশালি চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে হবে। অভ্যুত্থানকে বিকশিত করে ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আমলাতান্ত্রিক ভিত্তিভূমি উচ্ছেদের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতি (বিএসআরইএ)। অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছে। বাতিল করা এসব প্রকল্পে ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ছিল। তবে প্রকল্পগুলো বাতিল হওয়ায় এই খাতে বিনিয়োগ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো জানান বিএসআরইএর নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে এই খাতের উন্নয়নে ১১টি প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ।
এ সময় মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ৫৫টি নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। কিছু প্রকল্পে মাত্র একজন দরদাতা অংশ নিয়েছেন। আবার কিছু প্রকল্পে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রতিবছর গড়ে ২০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন মেট্রিক কিউবিক ফিট) কমে যাচ্ছে। ফলে আমরা জ্বালানিতে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ছি। এই অবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোলার প্যানেল ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমসের পক্ষ থেকে ওজনভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শুল্কারোপ করা হয়। এ ছাড়া মূল্যভেদে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। ফলে একই পণ্যে বারবার কর বসছে। এতে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শুল্ক-কর দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
বিএসআরইএর সভাপতি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ইতিমধ্যে দেশের সব ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কোনো পথনকশা বা রোডম্যাপ নেই। এই অবস্থায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটি আলাদা সেল গঠন করা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ইউনিটপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে এগিয়ে নিতে একটি স্বতন্ত্র ‘রিনিউয়েবল এনার্জি ডিভিশন’ গঠন করা প্রয়োজন। এতে এই খাতে জবাবদিহি বাড়বে ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিও দ্রুত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাহিদ আলো, অর্থবিষয়ক পরিচালক নিতাই পদ সাহা। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজ উর রহমানসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা।