আরও বাড়ল সোনার দাম, ভরি এখন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা
Published: 20th, February 2025 GMT
দেশে সোনার দাম আরও এক দফা বাড়ল। এ দফায় ভরিপ্রতি দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৩ টাকা। তাতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকা। দেশের বাজারে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে আবার সোনার দাম বাড়ানোর এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে পাঁচবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় জুয়েলার্স সমিতি। তাতে প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে সোনার ভরি দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
নতুন দাম অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১.
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১ হাজার ৯৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সেই হিসাবে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনায় ৩ হাজার ২৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৩ হাজার ১০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ৬৫৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ২ হাজার ২৭৪ টাকা দাম বাড়বে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সড়কে দুই শতাধিক মরা গাছে, চলাচলে ঝুঁকি
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই অংশে সড়কের দুই পাশে দুই শতাধিক গাছ মারা গেছে। এসব গাছের অংশই ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো না সরালে বড় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া এলাকার মানুষের একমাত্র চলাচলের সড়ক এটি। একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রুবেল হোসেনের ভাষ্য, ‘আমরা নিয়মিত এ মহাসড়কের মরা গাছের নিচ দিয়ে কারখানায় যাতায়াত করি। যে কোনো সময় এগুলোর অংশ ভেঙে মাথায় পড়তে পারে। ঝড় বা বৃষ্টি হলে বেশি ভয় লাগে। দ্রুত এসব যেন কেটে ফেলা হয়।’
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের শুধু বালিথা এলাকাতেই বড় আকৃতির শতাধিক মরা গাছ দাঁড়িয়ে আছে। এই এলাকায় রয়েছে তিনটি পোশাক কারখানাসহ পাঁচটি শিল্প কারখানা। শ্রমিকরা এ মরা গাছের নিচ দিয়ে চলাচল করছেন। এসব গাছের নিচে শ্রমিকদের বহনকারী যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কারণে এসব মারা গেছে বলে মনে করছে বন বিভাগ।
কিছুদিন আগে ঝড়ের সময় মহাসড়কের পাশের একটি মরা গাছের ডাল প্রাইভেটকারের ওপর এসে পড়ে বলে জানান ধামরাইয়ের বালিথা-বাথুলি এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, খাতরা থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ছোট-বড় তিন শতাধিক গাছ মারা গেছে। খাতরা এলাকার শতাধিক মরা গাছ কিছুদিন আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কেটে নিয়েছে। বালিথা এলাকার মরা গাছগুলো এখনও কাটা হয়নি। অনেক গাছে ঘুণপোকা আক্রমণ করেছে। যে কোনো সময় এগুলো ভেঙে পড়তে পারে যানবাহন ও পথচারীর ওপর।
মহাসড়কের পাশের গাছগুলো মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, বাসাবাড়ির বর্জ্য সড়কের পাশে ফেলছে। শিল্প কারখানা ও ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেও এসব গাছ মারা যাচ্ছে। মহাসড়কের এক পাশের গাছ মারা গেলেও অপরপাশের গাছের কিছুই হয়নি। এমনটি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং কিছু গাছের অনেক বয়স হওয়ার কারণে এমন হতে পারে।
নয়ারহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহা বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাছগুলো কাটা বা লাগানোর দায়িত্ব আমাদের না। এগুলো আমাদের আরেকটা বিভাগের কাজ। তার পরও মরা গাছ কাটার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি।’