সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনে গ্রাহকের আগ্রহ থাকে সবচেয়ে বেশি। মধ্যম বাজেটের এমন গ্রাহক চাহিদা বিবেচনা করে মডেল ডিজাইন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার। বাংলাদেশের গ্রাহক চাহিদা পূরণে ব্র্যান্ডটি বাজেটবান্ধব ও টেকসই শর্তকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে বলে নির্মাতারা জানান।
ডিসপ্লের ভেতর-বাহির
মডেলের ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৬.
কারিগরি বৈশিষ্ট্য
মডেলে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ চিপসেট, ৮ জিবি র্যাম (যা আরও ৮ জিবি বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব) ও ইউএফএস স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসে মাল্টিটাস্কিং ও গেমিং সুবিধা রয়েছে। হাই-গ্রাফিকস গেমে ব্যবহারকারী সামান্য ধীরগতির অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
স্মৃতিময় মুহূর্ত
মডেলে ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরার ডুয়াল সেটআপ রয়েছে। বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরায় ধারণে রয়েছে সেলফি ক্যামেরা, যা রঙের প্রাকৃতিক টোন বজায় রেখে স্বচ্ছ ছবি নিশ্চিত করবে। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ডিভাইসটি ৩০ এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড) ছাড়াও ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন দেবে। পূর্ণ চার্জে টানা ৪৮ ঘণ্টা আগের সব মডেলকে ছাড়িয়ে ব্যাটারি সুবিধা ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার। সে অর্থে দৈনন্দিন ব্যবহারে ব্যাটারি টানা দু’দিন চার্জ সুবিধা দেবে। মাত্র ২ শতাংশ চার্জে টানা ৫৫ মিনিট কথা বলা যাবে।
জানা গেছে, মডেলে রয়েছে ৩৫ ওয়াটের চার্জিং সুবিধা। পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগে
৯০ মিনিট। পানি থেকে সুরক্ষায় রয়েছে আইপি৬৪ ফিচার। ড্রপ অ্যান্ড ক্রাশ রেজিস্ট্যান্সে পাঁচতারকা রেটিংসহ
এসজিএস সার্টিফিকেশন পাওয়া।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজ্যের পাওনা আটকে রাখায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর মামলা
প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখার অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি মানেনি বলে রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এর জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজ্যে পুরো শিক্ষা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে তামিলনাড়ুর ডিএমকে-কংগ্রেস জোট সরকারের সম্পর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ। রাজ্যপাল আর এন রবির সঙ্গে রাজ্য সরকারের ঝগড়া চলছে নিত্য। একাধিক বিলে সম্মতি না দিয়ে ফেলে রাখার জন্য তামিলনাড়ু সরকার এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি কেউই অনির্দিষ্টকাল বিলে সই না করে থাকতে পারেন না। তিন মাসের মধ্যে বিলে সম্মতি না দিলে সেই বিল পাস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। ওই রায় ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে রায়ের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন।
এবারের মামলা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত ২০২০ সালে। ওই বছর নরেন্দ্র মোদির সরকার নতুন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি চালু করে। সেই নীতিতে প্রতি রাজ্যের সরকারি বিদ্যালয়ে তিনটি ভাষা শেখার ওপর জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজির সঙ্গে হিন্দি শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়। তামিলনাড়ু সরকার এভাবে জবরদস্তি হিন্দি চাপানোর বিরোধিতা করে। ত্রিভাষা নীতি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে জোর করে হিন্দি চাপানোর অভিযোগ আনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন অন্য অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলোকেও শামিল করেন।
তামিলনাড়ু সরকারের অভিযোগ, জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর না করায় কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা বিস্তারে তামিলনাড়ুকে আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে। পুরো শিক্ষা প্রকল্পে প্রাপ্য ২ হাজার ১৫১ কোটি রুপি মোদি সরকার দিচ্ছে না। তামিলনাড়ুর অভিযোগ, এর ফলে রাজ্যের স্কুলপড়ুয়ারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে তামিলনাড়ু সরকার এ কথাও জানিয়েছে, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের প্রকল্প অনুমোদন বোর্ডের বৈঠক বসেছিল। বৈঠকের পর বোর্ড জানিয়েছিল, তারা তামিলনাড়ু সরকারের প্রয়োজন সম্পর্কে অবহিত আছে। ওই বৈঠকের পর রাজ্যের জন্য ২ হাজার ৫৮৫ কোটি ৯৯ লাখ রুপি শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়।
মোট বরাদ্দের ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান, বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্যের খরচ করার কথা। সেই অনুপাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ২ হাজার ১৫১ কোটি। ওই টাকা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ, জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতার জন্যই ওই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।