আড়াইহাজারে কৃষকলীগের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও ভাইরাল
Published: 20th, April 2025 GMT
আড়াইহাজারে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঝটিকা মিছিল করেছে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার বিকেলে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নে এই মিছিল করেন আড়াইহাজার কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কৃষক লীগ নেতা হান্নান মিয়া ও রুবেল হোসেন।
ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায় ১০-১৫ জন লোক কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ব্যানারে মিছিল করছেন এবং ‘শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে’, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ দিন কৃষক লীগের জন্মদিন’ স্লোগান দিচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কৃষকলীগের ৫৩ বছর পূর্তি ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক ব্যানারে এই মিছিল করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড.
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে খাককান্দা ইউনিয়নে ঝটিকা মিছিল করেছে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মোল্লা সমর্থকরা। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম ছ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় ইব্রাহিম রায়িসির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানী ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
‘ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ ইব্রাহিম রায়িসির গভার্নেন্স মডেল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ।
আরো পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ইরানের
ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৫, আহত সাত শতাধিক
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মওলানা ফাহিমুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন রাষ্ট্রনয়াকের যত ভালো গুণ থাকা দরকার ছিল তার সকল গুণই আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির মধ্যে বিদ্যমান ছিল। তিনি পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাকে যথাযথভাবে তার জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি অন্তরে যা ধারণ করতেন, মুখে তাই বলতেন এবং কর্মের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতেন। তার কাজে ও কর্মে প্রধান লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জনগণের সন্তুষ্টি।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। তার জনপ্রিয়তা কেবল নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। তিনি বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বে বিশেষ করে বিশ্বের সব মানবতাবাদী মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার শাহাদাতে সারা বিশ্বের মানুষ কেবল শোক ও সহমর্মিতা জানিয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জাতীয়ভাবে শোক পালন করেছে। তাকে বলা হতো জনতার প্রেসিডেন্ট। তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল।
বক্তারা বলেন, আয়াতুল্লাহ রায়িসি নিজ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি বৈদেশিক কূটনীতিতেও রয়েছে তার অনেক বড় সফলতা। তার প্রশাসনের সবচেয়ে গৌরবময় প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ফিলিস্তিন এবং সেখানকার প্রতিরোধের বিষয়ে বাস্তবিকভাবে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করা। এক্ষেত্রে তার ভূমিকা সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ