সুস্থ আছেন কিনা, এটা বোঝার জন্য শুধু খেয়াল করুন আপনি আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো হাত-পায়ের ব্যথা ছাড়া করতে পারছেন কিনা। যদি দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে ‘ইনজুরি ফিল’ করেন তাহলে কয়েকটি অভ্যাস পাল্টে ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে যেতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ করে তুলতে পারে। তবে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট রাখা যাবে না। এতে উল্টো আপনার ব্রেন চাপ অনুভব করতে পারে।

আবু সুফিয়ান তাজ, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার বলেন, ‘‘ব্যায়াম করার সময় স্পেসিফিক কোনো টার্গেট রাখবেন না যে— আমাকে ওজন কমাতেই হবে। যখন কোনো টার্গেট নিয়ে আপনি অনেক বেশি এক্সারসাইজ করবেন এবং অনেক বেশি হার্ডওয়ার্ক করবেন তখন আপনার ব্রেন চাপ অনুভব করবে। তখন সেটা আপনার  ‘ডোপামিন’ হরমোন রিলিজ করার বদলে ‘কর্টিসল’ হরমনো রিলিজ বাড়াবে। আর কর্টিসল হরমোন শরীরে ফ্যাট জমায়।’’  

এই ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার আরও বলেন, ‘‘অনেকে দেখা যায় যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেডমিলে দৌড়ায়। ব্যায়াম করার সময় শরীর প্রথম ২০ মিনিট সেরোটোনিন উৎপন্ন করে। তারপর অতিরিক্ত সময় ব্যায়াম করলে আমাদের মাসল শুকিয়ে যায় এবং ফ্যাট বাড়ে। অতিরিক্ত সময় ওজন করলে বোন ডেনসিটি কমে যায়।’’ 

আরো পড়ুন:

পিত্তথলিতে বালু হলে কী করবেন

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে চান?

হেলদি লাইফস্টাইল গড়ে তোলার অন্যতম শর্ত ব্যায়াম করা। ব্যায়ামের অনেক ধরন রয়েছে সবার জন্য সব ব্যায়াম ভালো না। শরীরের অবস্থা বুঝে সঠিক ব্যায়াম করতে পারলে উপকার পাবেন। 

‘‘আপনার যদি উদ্দেশ্য থাকে আমি হেলদি থাকবো, লং টাইম হেলদি লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করবো, তাহলে আপনি ডিপ্রেশনে পড়বেন না। আপনার লং টাইম ভিশন থাকতে হবে যে, পঞ্চার, ষাট বছরে আমি অসুস্থ হবো না। যতদিন বেঁচে থাকবো সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো। যাদের চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোমরে ইনজুরি আছে কিন্তু ‘আপার বডি’তে ইনজুরি নাই, সেক্ষেত্রে আপনি আপার বডির ব্যায়াম করতে পারেন। দেখা গেলো যে আপনার হাঁটুতে ইনজুরি তাহলে আপনি সাইক্লিং বাদে অন্যান্য যেসব ব্যায়াম আছে ‘লোয়ার বডি’র  জন্য সেগুলো করতে পারেন।’’ 

আপনার শরীরের জন্য কোন ব্যায়াম ভালো, সেটি জানার জন্য স্থানীয় জীমে গিয়ে ট্রেইনারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য য় ম কর র র জন য আপন র ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ