‘ব্যায়াম করে ওজন কমাতে চাইলে ব্রেন চাপ অনুভব করে’
Published: 3rd, May 2025 GMT
সুস্থ আছেন কিনা, এটা বোঝার জন্য শুধু খেয়াল করুন আপনি আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো হাত-পায়ের ব্যথা ছাড়া করতে পারছেন কিনা। যদি দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে ‘ইনজুরি ফিল’ করেন তাহলে কয়েকটি অভ্যাস পাল্টে ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে যেতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ করে তুলতে পারে। তবে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট রাখা যাবে না। এতে উল্টো আপনার ব্রেন চাপ অনুভব করতে পারে।
আবু সুফিয়ান তাজ, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার বলেন, ‘‘ব্যায়াম করার সময় স্পেসিফিক কোনো টার্গেট রাখবেন না যে— আমাকে ওজন কমাতেই হবে। যখন কোনো টার্গেট নিয়ে আপনি অনেক বেশি এক্সারসাইজ করবেন এবং অনেক বেশি হার্ডওয়ার্ক করবেন তখন আপনার ব্রেন চাপ অনুভব করবে। তখন সেটা আপনার ‘ডোপামিন’ হরমোন রিলিজ করার বদলে ‘কর্টিসল’ হরমনো রিলিজ বাড়াবে। আর কর্টিসল হরমোন শরীরে ফ্যাট জমায়।’’
এই ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার আরও বলেন, ‘‘অনেকে দেখা যায় যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেডমিলে দৌড়ায়। ব্যায়াম করার সময় শরীর প্রথম ২০ মিনিট সেরোটোনিন উৎপন্ন করে। তারপর অতিরিক্ত সময় ব্যায়াম করলে আমাদের মাসল শুকিয়ে যায় এবং ফ্যাট বাড়ে। অতিরিক্ত সময় ওজন করলে বোন ডেনসিটি কমে যায়।’’
আরো পড়ুন:
পিত্তথলিতে বালু হলে কী করবেন
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে চান?
হেলদি লাইফস্টাইল গড়ে তোলার অন্যতম শর্ত ব্যায়াম করা। ব্যায়ামের অনেক ধরন রয়েছে সবার জন্য সব ব্যায়াম ভালো না। শরীরের অবস্থা বুঝে সঠিক ব্যায়াম করতে পারলে উপকার পাবেন।
‘‘আপনার যদি উদ্দেশ্য থাকে আমি হেলদি থাকবো, লং টাইম হেলদি লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করবো, তাহলে আপনি ডিপ্রেশনে পড়বেন না। আপনার লং টাইম ভিশন থাকতে হবে যে, পঞ্চার, ষাট বছরে আমি অসুস্থ হবো না। যতদিন বেঁচে থাকবো সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো। যাদের চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোমরে ইনজুরি আছে কিন্তু ‘আপার বডি’তে ইনজুরি নাই, সেক্ষেত্রে আপনি আপার বডির ব্যায়াম করতে পারেন। দেখা গেলো যে আপনার হাঁটুতে ইনজুরি তাহলে আপনি সাইক্লিং বাদে অন্যান্য যেসব ব্যায়াম আছে ‘লোয়ার বডি’র জন্য সেগুলো করতে পারেন।’’
আপনার শরীরের জন্য কোন ব্যায়াম ভালো, সেটি জানার জন্য স্থানীয় জীমে গিয়ে ট্রেইনারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য য় ম কর র র জন য আপন র ইনজ র
এছাড়াও পড়ুন:
আউটসোর্সিং বরাদ্দ ও ব্যয়ে নীতিমালা মানা হচ্ছে না
আউটসোর্সিং ও অনিয়মিত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের মজুরিবিষয়ক অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে নীতিমালা বা পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আউটসোর্সিং এবং অন্য ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কোডের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আনুষঙ্গিক কর্মচারীর (সরকারি কর্মচারী ব্যতীত) সাকল্য বেতন, আউটসোর্সিং এবং অনিয়মিত শ্রমিক মজুরিবিষয়ক অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে জারি করা নীতিমালা, পরিপত্র ও অফিস স্মারকের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। একই ধরনের কাজের জন্য বর্ণিত একাধিক কোডে অর্থ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। যে কোডে বরাদ্দ রাখার সুযোগ নেই, সেখানেও রাখা হচ্ছে– যা আর্থিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ এপ্রিল অর্থ বিভাগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ এবং দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার বিষয়ে দুটি নীতিমালা জারি করে। দুটি নীতিমালায় সেবা ক্রয় এবং জরুরি কাজে সম্পূর্ণরূপে সাময়িকভাবে দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োজিত করার বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগ বলেছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় সাকল্য বেতনে নিয়োজিত জনবলের (প্রাধিকারভুক্ত প্রিভিলেজ স্টাফ ও চুক্তিভিত্তিক) ব্যয় ‘সাকল্য বেতন (সরকারি কর্মচারী ব্যতীত)’ খাত হতে নির্বাহ হবে। যেহেতু তারা সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত নন, সেহেতু তাদের প্রযোজ্য বিধিবিধান ও নিয়ম-আচার অনুসারে বেতনভাতাদি সমন্বয়ে সাকল্যে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক কর্মচারী সরকারের নিয়মিত রাজস্বভুক্ত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত না
হয়ে নির্দিষ্ট কোনো কার্য সম্পাদনে স্কেলের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে যাদের চাকরি নিয়মিত হয়েছে, শুধু তাদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় এ কোডের বিপরীতে হিসাবভুক্ত করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রযোজ্য ও অনুসরণীয় হবে। একই ধরনের কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোডের বিপরীতে বরাদ্দ না রেখে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করে প্রাপ্যতা অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অর্থের সংকুলান সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট কোডের বিপরীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং অধীন সংস্থাকে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।