গত সপ্তাহে টানা দরপতনের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৪ মে) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে, উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৮.
ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৯০টি কোম্পানির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১.৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ০.০৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮০৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৮১.৯৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২০টি কোম্পানির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির।
সিএসইতে ৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
শনিবার (৩ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৬৯ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২২.১২ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২২ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.৫২ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১১.০৫ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৩ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, দর কমেছে ১৯৯টির ও দর অপরিবর্তিত ৩৭ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৯টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫১.৬৪ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮০৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৮৩ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.১৩ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৪২৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৬৪ শতাংশ কমে ৮৯৭ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.১৪ শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্ট অপরিবর্তীত রয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৪৩৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, দর কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা