মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পেতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি
Published: 5th, May 2025 GMT
ষষ্ঠ, নবম (বিশেষ ক্ষেত্রে) ও একাদশ, আলিম (সমমান) প্রথম বর্ষের উপবৃত্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর তথ্য এইচএসপি সফটওয়্যারে আবেদন পাঠানোর সময় বাড়ানো হয়েছে। সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১৫ মে পর্যন্ত আবেদন পাঠানো যাবে। একই সঙ্গে এ আবেদন উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ২০ মের মধ্যে এইচএসপিতে পাঠাবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ ও আলিম প্রথম বর্ষ এবং শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, নবম (বিশেষ ক্ষেত্রে) ও সমমান শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসপি সফটওয়্যারে এন্ট্রি ও উপজেলায় পাঠানোর সময়সীমা ছিল ৩০ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত। কিন্তু বিশেষ বিবেচনায় এ সময় আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসপি সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি এবং পাঠানোর অপশন ১৫ মে রাত ১২টায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনজাপানের মেক্সট বৃত্তি, মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার ইয়েন, একাদশ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ৩ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া সব উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠানো তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এইচএসপিতে পাঠানোর সময় ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র সময় উপব ত ত বর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের
থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।
থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফএওর সূচক কমেছেপ্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের
অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।