রাখাইন রাজ্যে অবৈধভাবে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ১১ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, বুধবার মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ হতে ৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে একটি ইঞ্জিনচালিত সন্দেহজনক কাঠের বোট দেখতে পায় কোস্টগার্ড। বঙ্গোপসাগরে ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় উক্ত এলাকায় বোটটি সন্দেহজনক হওয়ায় কোস্টগার্ড জাহাজ বিসিজিএস মনসুর আলী কর্তৃক বোটটিকে থামার সংকেত প্রদান করে। বোটটি সংকেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে জাহাজ কর্তৃক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া করে বোটটিকে আটক করা হয়। বোটটিতে তল্লাশি করে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারকালে ৭৪২ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এ সময় ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। পাচারকারীরা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা। পরবর্তীতে জব্দকৃত সার টেকনাফ কাস্টমস এ এবং আটককৃত পাচারকারী ও পাচার কাজে ব্যবহৃত বোটটি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মিডিয়া কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদীতীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চোরাচালানরোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। চোরাচালান রোধকল্পে কোস্টগার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ২ মে মিয়ানমারে পাচারকারে ৬৬ বস্তা সার জব্দ করে কোস্টগার্ড। এসময় ১০ পাচারকারীকে আট করেছিলেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র খ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-সিগারেটের চালান আটক

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইলেকট্রিক সিগারেট (ই-সিগারেট), রিফিল, কার্টিজ, কয়েলের একটি চালান আটক করা হয়েছে। 

রোববার সকালে আবুধাবি থেকে আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের একজন যাত্রীর কাছ থেকে এই চালান আটক করা হয়েছে। ওই যাত্রীর নাম মোহাম্মদ আইয়ুব। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানবন্দরে বেল্ট থেকে ওই যাত্রী ব্যাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন আইয়ুব। এ সময় বিমানবন্দর এনএসআই টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার ব্যাগেজ তল্লাশি করে ২০টি ইলেকট্রিক সিগারেট, ৪৯০টি সিগারেট রিফিল লিকুইড, ২৮০টি সিগারেট কার্টিজ এবং ৩০টি সিগারেট কয়েল পাওয়া যায়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। তবে প্রথমবারের মতো অভিযুক্ত হওয়ায় পণ্যসামগ্রী রেখে দিয়ে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ