বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সিদ্ধান্ত দ্রুতই নেওয়া হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
Published: 12th, May 2025 GMT
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেছেন, সার্বিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমোদন দেওয়া হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। আজ সোমবার ইউজিসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা।
বর্তমানে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি করার সুযোগ থাকলেও ১৯৯২ সাল থেকে চালু হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তা নেই। শিক্ষা-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখন কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তুলনামূলক ভালো। এমনকি কিউএস বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে দেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিচ্ছে, সেখানে দেশের কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও থাকছে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত অনেক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অধ্যাপনা করছেন। তাঁদের অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সময় পিএইচডি গবেষকের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারভাইজার) হতে পারলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পারছেন না। তাই গুণমান বিচার করে এবং নির্ধারিত মানদণ্ড নির্ধারণ করে সুপরিচিত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধায়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর পক্ষে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই। তবে এ ক্ষেত্রে গবেষণার মানের সঙ্গে কোনোভাবে আপস করা যাবে না বলেও অভিমত।
দেশে এখন অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ভালো করছে, বলা যাবে না; বরং অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, মানসম্মত শিক্ষার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তার পুরোপুরি নেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের বিভিন্ন সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়কেও প্রভাবিত করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে সমস্যার সমাধান বের করতে হবে।
পরিবর্তিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও মানসিক অবস্থা গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ইউজিসি উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও প্রসারে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আলাদাভাবে দেখতে চায় না। ইউজিসি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নয়, বরং সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, যুগের চাহিদা পূরণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ব সরক র প এইচড ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
ইউটিউবে কম রেজল্যুশনের ভিডিও এখন দেখাবে এইচডি মানে
ভিডিও দেখা মানেই এখন ইউটিউব। একসময় এই মাধ্যমে শুধু ২৪০পি বা ৩৬০পি রেজল্যুশনের ভিডিওই দেখা যেত। সময়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এইচডি, ফুল এইচডি ও ৪কে রেজল্যুশন। যা ইউটিউবে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। এবার বড় পর্দায় ভিডিওর মান আরও উন্নত করতে গুগল মালিকানাধীন মাধ্যমটি চালু করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর নতুন সুবিধা ‘সুপার রেজল্যুশন’।
নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম রেজল্যুশনে আপলোড করা ভিডিওর মান উন্নত করবে। ২৪০পি থেকে ৭২০পি পর্যন্ত ভিডিওগুলো এআই প্রযুক্তির সহায়তায় রূপান্তরিত হবে এইচডি মানে। বড় পর্দায়, বিশেষ করে স্মার্ট টিভিতে, যাতে ভিডিও ঝাপসা বা বিকৃত না দেখায়, সেটিই এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য।
ইউটিউব জানিয়েছে, ‘সুপার রেজল্যুশন’ ভিডিওর প্রতিটি ফ্রেম বিশ্লেষণ করে ছবির সূক্ষ্মতা ও রঙের ভারসাম্য ঠিক করবে। ফলে পুরোনো বা নিম্নমানের ভিডিও আরও স্পষ্ট ও প্রাণবন্তভাবে দেখা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা ১০৮০পি ভিডিওর জন্য চালু করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি ৪কে রেজল্যুশনেও কাজ করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীরা চাইলে এই সুবিধা বন্ধ রাখার সুযোগও পাবেন। এতে ভিডিওর মূল রেজল্যুশন অপরিবর্তিত থাকবে এবং নির্মাতারা আসল ফাইল অক্ষত রাখতে পারবেন।
ভিডিওর মান উন্নয়নের পাশাপাশি ইউটিউব হোমপেজেও আসছে নতুন পরিবর্তন। এখন ব্যবহারকারীরা হোমপেজ থেকেই কোনো চ্যানেলের ভিডিও প্রিভিউ আকারে দেখতে পারবেন। পাশাপাশি মাধ্যমটির ‘শো’ বিভাগ নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে, যাতে ধারাবাহিক সিরিজ বা সম্পর্কিত ভিডিও সহজে দেখা যায়। নির্মাতাদের জন্য বাড়ছে থাম্বনেইল আপলোডের সীমা। আগে যেখানে থাম্বনেইলের সর্বোচ্চ ফাইলের আকার ছিল ২ মেগাবাইট, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ মেগাবাইট। এতে নির্মাতারা ৪কে রেজল্যুশনের উচ্চমানের ছবি থাম্বনেইল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
পাশাপাশি ইউটিউব পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছে কিউআর কোডভিত্তিক কেনাকাটার সুবিধা। এই সুবিধা চালু হলে দর্শকেরা ভিডিওতে প্রদর্শিত পণ্যের কিউআর কোড স্ক্যান করে সরাসরি তা কিনতে পারবেন।
সূত্র: টেক্লুসিভ