বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সাথে কো‌নো সম্পৃক্ততা নেই জা‌নি‌য়ে নেতাকর্মী‌দের পাচঁ‌টি নি‌র্দেশনা দি‌য়ে‌ছে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।

সোমবার (১২ মে) বিকেলে স‌চিবাল‌য়ে অনু‌ষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শে‌ষে সংগঠন‌টির নেতারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় সিনিয়র সচিব তাদের দাবি অনুযায়ী উপসচিবের ছয়টি পদ সংরক্ষণের মঞ্জুরি জ্ঞাপনের সুসংবাদ দেন এবং নিয়মতান্ত্রিক সব দাবি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন ব‌লেও জানান নেতারা।

সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো.

বাদিউল কবীর।

পাচ‌ নি‌র্দেশনা:
১। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ যেহেতু সচিবালয়ের সব সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ঐতিহ্যবাহী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। সেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা ও পরিশীলিত আচরণের প্রতি সচেতন থেকে পরিষদের সদস্যরা তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
২। বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও দাবি-দাওয়া আদায় এই সংগঠন নিয়মতান্ত্রিকপন্থা থেকে বিচ্যুত হবে না এবং কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হঠকারী সিদ্ধান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোন রূপ সহায়তা প্রদান করবে না এবং কাউকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ প্রদান করবে না।

৩। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোন গুজবে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোন কার্যক্রমে বা মব সৃষ্ট কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ কর্মচারীদেরকে পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। উপরন্তু এরূপ অনিয়মতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণকে সচিবালয় অঙ্গনে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্বে যথাসাধ্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
৪। সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত কোন সংগঠন কর্তৃক আহত কোন প্রকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মচারীদেরকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক বার্তা প্রাপ্তির পরও যদি কোন কর্মচারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তার জন্য উক্ত কর্মচারীকে যাবতীয় দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কোনরূপ সহযোগিতা প্রদান করা হবে না।

৫। বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বিধায় উক্ত সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা ও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরে কর্মরত সব স্তরের কর্মচারীদের পুনঃঅনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

সভায় বক্তব‌্য রা‌খেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা তোয়াহা, বায়েজিদ হাসান, নুরুজ্জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন মিজানুর রহমান, রহমত উল্লাহ বাবু, আশরাফুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. বিপুল, আরিফুর রহমান, বাবুল আক্তার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান, আরিফ হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শাহিন গোলাম রাব্বানী, সাব্বির আহমেদ, রুহুল আমিন, মো. আরিফ, আব্দুল কাদের, সোহেল রানা, আহসান হাবীব সিয়াম, শাহাদাত হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত র জন য স র রহম ন স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাফাসিয়া: হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া 

অ্যাফাসিয়া (Aphasia) বা হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণ মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। সাধারণত স্ট্রোক, আঘাত বা অন্য কোনো স্নায়বিক রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। সমস্যাটি মানুষের কথা বলার ক্ষমতা, লেখার ক্ষমতা ও ভাষা বোঝার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

অ্যাফাসিয়ার কারণ 

স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্তক্ষরণ হলে অর্থাৎ স্ট্রোক করার পর ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

মাথায় আঘাত: গুরুতর আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগ: কিছু স্নায়বিক রোগ, যেমন ডিমেনশিয়া, আলঝেইমার বা মস্তিষ্কের টিউমারের কারণেও অ্যাফাসিয়া হতে পারে।

অ্যাফাসিয়ার লক্ষণ 

অ্যাফাসিয়ার লক্ষণগুলো হলো—কথা বলার সময় শব্দ খুঁজে না পাওয়া বা ভুল শব্দ ব্যবহার করা, বাক্যের গঠন বা শব্দবিন্যাসে সমস্যা, অন্য কেউ কথা বললে বুঝতে অসুবিধা হওয়া, লেখা বা পড়ার সমস্যা, কথা বলার সময় শব্দ বা বাক্য ভুলভাবে উচ্চারণ করা, কথা বলার আগ্রহ কমে যাওয়া বা কথা বলতে না পারা।

অ্যাফাসিয়ার চিকিৎসা 

অ্যাফাসিয়ার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে কিছু থেরাপির মাধ্যমে এর প্রভাব কমাতে এবং কথা বলার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। স্পিচ থেরাপিস্টরা অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কথা বলা, ভাষা বোঝা ও লেখার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করেন।

কিছু পরামর্শ 

অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের প্রতি ধৈর্য ও সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাঁদের কথা বুঝতে অসুবিধা হলে সহজ শব্দ ব্যবহার করুন এবং ধীরে ধীরে কথা বলুন। কথা বলার সময় তাঁদের সাহায্য করুন। যেমন ছবি বা অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করা। অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সহায়তা দরকার হতে পারে।

অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ