‘বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সাথে সচিবালয় সংযুক্ত পরিষদের সম্পৃক্ততা নেই’
Published: 12th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে নেতাকর্মীদের পাচঁটি নির্দেশনা দিয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে সংগঠনটির নেতারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় সিনিয়র সচিব তাদের দাবি অনুযায়ী উপসচিবের ছয়টি পদ সংরক্ষণের মঞ্জুরি জ্ঞাপনের সুসংবাদ দেন এবং নিয়মতান্ত্রিক সব দাবি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন বলেও জানান নেতারা।
সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো.
পাচ নির্দেশনা:
১। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ যেহেতু সচিবালয়ের সব সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ঐতিহ্যবাহী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। সেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা ও পরিশীলিত আচরণের প্রতি সচেতন থেকে পরিষদের সদস্যরা তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
২। বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও দাবি-দাওয়া আদায় এই সংগঠন নিয়মতান্ত্রিকপন্থা থেকে বিচ্যুত হবে না এবং কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হঠকারী সিদ্ধান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোন রূপ সহায়তা প্রদান করবে না এবং কাউকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ প্রদান করবে না।
৩। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোন গুজবে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোন কার্যক্রমে বা মব সৃষ্ট কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ কর্মচারীদেরকে পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। উপরন্তু এরূপ অনিয়মতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণকে সচিবালয় অঙ্গনে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্বে যথাসাধ্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
৪। সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত কোন সংগঠন কর্তৃক আহত কোন প্রকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মচারীদেরকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক বার্তা প্রাপ্তির পরও যদি কোন কর্মচারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তার জন্য উক্ত কর্মচারীকে যাবতীয় দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কোনরূপ সহযোগিতা প্রদান করা হবে না।
৫। বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বিধায় উক্ত সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা ও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরে কর্মরত সব স্তরের কর্মচারীদের পুনঃঅনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা তোয়াহা, বায়েজিদ হাসান, নুরুজ্জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন মিজানুর রহমান, রহমত উল্লাহ বাবু, আশরাফুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. বিপুল, আরিফুর রহমান, বাবুল আক্তার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান, আরিফ হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শাহিন গোলাম রাব্বানী, সাব্বির আহমেদ, রুহুল আমিন, মো. আরিফ, আব্দুল কাদের, সোহেল রানা, আহসান হাবীব সিয়াম, শাহাদাত হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত র জন য স র রহম ন স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি