ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পিএসএলের মতো স্থগিত হয়েছিল আইপিএলও। পিএসএল ১৭ মে শুরু হচ্ছে। একই দিন আইপিএলও শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বেঙ্গালুরুয় কলকাতা ও বেঙ্গালুরু ১৭ মে’র ম্যাচে মুখোমুখি হবে।

ফাইনাল দিয়ে ৩ জুন শেষ হবে টুর্নামেন্ট। বিসিসিআই বিবৃতিতে বলেছে, সরকার, নিরাপত্তা সংস্থা এবং সকল অংশীদারদের সঙ্গে খুব গভীরভাবে আলোচনা করে তারা আইপিএল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ছয় ভেন্যুতে আইপিএলের বাকি ১৭ ম্যাচ আয়োজন করা হবে। ভেন্যুগুলো হলো- বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাই, আহমেদাবাদ, কানপুর ও লক্ষ্নৌ। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের ১৩ ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু ঘোষণা করা হলেও কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও ফাইনালের ভেন্যু ঘোষণা করা হয়নি।

তবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে একটি কোয়ালিফায়ার ও আইপিএলের ফাইনাল হতে পারে বলে দাবি করেছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম। পূর্বের সূচিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে আইপিএল নতুন করে শুরুর ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে এই ফ্র্যাঞ্জাইজি টুর্নামেন্টকে দূরে রাখতে ভারতের দক্ষিণাংশের তিন শহর চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুয় টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজন করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ক আর ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

১৬ উইকেটের দিনে অস্ট্রেলিয়ার জয়

প্রথম দিন ১৪ উইকেট। দ্বিতীয় দিন ১০ উইকেট। তৃতীয় দিনে সবচেয়ে বেশি, ১৬ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টে প্রতিদিনই উইকেটের উৎসব হলো। 

হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শুক্রবার ব্রিজটাউনে খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৯২। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করছিল ম্যাচের গতিপথ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররাও ছিলেন ভয়ংকর। বিশেষ করে সামার জোসেফ। 

ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই হলো। অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারল ২১৮ রান। সব মিলিয়ে রান ৩১০। সামার জোসেফ পেলেন ৫ উইকেটের স্বাদ। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ ইনিংসে টার্গেট পেল ৩০১ রানের। কিন্তু ওই রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনেই অলআউট তারা। হ্যাজেলউডের ৫ উইকেটে ১৪১ রানে গুটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ হারল ১৫৯ রানে।

বোলারদের সাজানো মঞ্চে টানা দুই ইনিংসে ফিফটি তুলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ট্রেভিস হেড। প্রথম ইনিংসের ৫৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রান করেন হেড। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের কেউই লড়াই করতে পারেননি। মিডল অর্ডারেই এসেছে তিনটি ষাট রানের ইনিংস। হেডের ৬১ রানের পর বেউই ওয়েবস্টার ৬৩ এবং অ্যালেক্স ক্যারি ৬৫ রান করেন। তাতে স্কোরবোর্ডে তিনশর বেশি রান পায় সাবেক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ীরা। 

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া সামার এবার নেন ৫ উইকেট। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে কাঁপন ধরান তিনি। ৯ টেস্টে ৩৮ উইকেট পাওয়া ডানহাতি পেসার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ৩ ম্যাচে ২২ উইকেট পেয়েছেন। ৪টি ফাইফারের ৩টিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এছাড়া আলজারি জোসেফ ২ উইকেট পেয়েছেন। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১০ রানের লিড পেয়েছিল। তাতে এবার তাদের টার্গেট ৩০১। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচটা তৃতীয় দিনের হেরে যেতে হয়েছে তাদেরকে। শুরুর সাত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন কেবল তিন ক্রিকেটার। জন ক্যাম্পেল ২৩, কেসি কার্টি ২০ ও জাস্টিন গ্রেভস ৩৮ রান করেন। শেষ দিকে সামারের ৪৪ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। 

নিখুঁত লাইন ও লেন্থ মেনে বোলিং করা হ্যাজেলউড ৪৩ রানে নেন ৫ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন নাথান লায়ন। 

দারুণ এই জয়ে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের যাত্রা শুরু করলো অস্ট্রেলিয়া। ৩ জুলাই দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে দুই দল।

ঢাকা/ইয়াসিন  

সম্পর্কিত নিবন্ধ