মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের সেবা দিতে দুটি ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হলেও  প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি একটি ক্যাথল্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.

মো. শফিকুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

মঙ্গলবার (১৩ মে) পাঠানো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবিরের স্বাক্ষর রয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়ছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক রোগীকে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাবের মধ্য থেকে উপযুক্ত একটি স্থানান্তর করা প্রয়োজন।এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজার, নিমিউ অ্যান্ড টিসি প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবেন।

এদিকে স্থানীয় রোগীরা জানান, হার্টের রোগীসহ মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ক্যাথল্যাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাব সচল হলে জেলার হাজার হাজার রোগীর জীবন বাঁচবে। একটি ক্যাথল্যাব অন্যত্র চলে গেলে জেলার রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্য অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘এমনিতেই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। তার মধ্যে ক্যাথল্যাব দুটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত পড়ে আছে। তার মধ্যে একটি অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এটি এ জেলার জন্য এক ধরনের মহাবিপদ। যারা ক্যাথল্যাবটি চালু করতে পারেননি এ দায় ভার তাদের।’’

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘দক্ষ জনবলের অভাবে ক্যাথল্যাব দুটি চালু করা যায়নি। আমি যোগদানের পরে চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। ক্যাথল্যাব পরিচালনার জন্য জনবল প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। দ্রুত ক্যাথল্যাব চালু করা হবে।’’ 

যেহেতু দুটি ক্যাথল্যাব আছে। একটি দিয়ে রোগীর সেবা প্রদান করা সম্ভব। অন্যটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। 
 

তারা//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ ম ড ক ল ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এনবিআর ও আইআরডি বিলুপ্ত করে হচ্ছে দুটি বিভাগ, কী হবে তাদের কাজ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত রাতে এ–সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশে নতুন দুই বিভাগের কার্যপরিধি কী হবে, তা–ও উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজস্ব নীতি বিভাগ কী কী করবে

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ নামে নতুন যে বিভাগ গঠিত হবে, সেটির কাজ হবে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব জোগানে সম্প্রসারণমূলক কর ভিত্তি, যৌক্তিক করহার, সীমিত কর অব্যাহতি নীতি অনুসরণ করে উত্তম কর ব্যবস্থা তৈরি করা। এ ছাড়া স্ট্যাম্প আইনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন নতুনভাবে প্রণয়ন বা সংশোধন করা, স্ট্যাম্প ডিউটি , আয়কর, ভ্রমণ কর, দান কর, সম্পদ কর, কাস্টমস শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ ও অন্যান্য শুল্ক-কর, ফি আরোপ, হ্রাস-বৃদ্ধি ও অব্যাহতি প্রদান–সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে এই বিভাগ। পাশাপাশি কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিস্থিতির মূল্যায়ন; কাস্টমস–সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন ও মতামত প্রদান; আন্তর্জাতিক দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি–সংক্রান্ত কার্যক্রম; রাজস্ব–সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ ও গবেষণার মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের যথাযথ প্রক্ষেপণ ও প্রাক্কলন করা; রাজস্ব নীতি–সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান, প্রজ্ঞাপন, এসআরও প্রণয়ন, সংশোধন ও ব্যাখ্যা প্রদান করবে এই বিভাগ।

এই বিভাগের জনবল সম্পর্কে বলা হয়েছে, আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাব এবং আইনসংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞদের দিয়ে বিভাগটির বিভিন্ন পদ পূরণ করা হবে। আর সরকার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো সরকারি কর্মকর্তাকে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে বলে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্ত, গঠিত হচ্ছে দুই সংস্থা ২ ঘণ্টা আগে

এ বিভাগকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, রাজস্ববিশেষজ্ঞ, আইনবিশেষজ্ঞ, হিসাব ও নিরীক্ষাবিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী সংগঠন, পেশাজীবী প্রতিনিধি, ট্যারিফ কমিশনমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিত্বে একটি পরামর্শক কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে অধ্যাদেশে।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ কী কী করবে

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন এ বিভাগ গঠিত হবে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এ বিভাগের কাজের মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির যথাযথ প্রয়োগ; কাস্টমস–সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন; আন্তর্জাতিক দ্বৈত কর পরিহারসংক্রান্ত চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন; কর ভিত্তি সম্প্রসারণে করসেবা, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি জোরদার করা এবং সবাইকে করজালের মধ্যে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ; রাজস্ব ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত পদ্ধতি প্রণয়ন; রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে রাজস্ব নীতি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধন, দক্ষ জনবল কাঠামো গড়ে তোলা এবং নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর এনবিআরের বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে। তবে এসব জনবল হতে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগেও পদায়ন করা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি ব্যাংকে নিয়োগ, প্রয়োজন স্নাতকোত্তর ও অভিজ্ঞতা
  • চিকিৎসক-জনবল সংকট সেবা পাচ্ছে না রোগী
  • জনবল–সংকটে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • কর বসাবে রাজস্ব নীতি বিভাগ, আদায়ে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা
  • এনবিআর ও আইআরডি বিলুপ্ত করে হচ্ছে দুটি বিভাগ, কী হবে তাদের কাজ
  • বিলুপ্ত হলো এনবিআর, দুভাগ করে অধ্যাদেশ জারি