স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার নারীর অগ্রগতি, উন্নয়ন ও নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্র নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসন, নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ সরকার নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি বহুস্তরীয় কাঠামো স্থাপন করেছে।
নারীর অগ্রগতি নিশ্চিত করার প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব কেবল মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নয় বরং এটি সরকারের সব মন্ত্রণালয়ের যৌথ দায়িত্ব। নারীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে ক.

জেন্ডার সংবেদনশীল পরিকল্পনা, খ. জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটিং, গ. নারী-পুরুষ ভেদে উপাত্ত সংগ্রহ এবং ঘ. নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলোতে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নারী-পুরুষের সমতা-উন্নয়নে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। প্রকল্প প্রণয়ন ছকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জাতীয় জরিপ ও জনশুমারিতে সময়োপযোগীভাবে নারী-পুরুষ ভেদে সূচক সংযোজন করেছে। যেমন– জেন্ডার পরিসংখ্যান প্রতিবেদন, গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ এবং শ্রমশক্তি জরিপে নারী-পুরুষভিত্তিক মডিউল সংযোজিত হয়েছে। 
নীতিনির্ধারণে জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর অধীনে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া চালু হয়। প্রাথমিকভাবে চারটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে–মন্ত্রণালয়গুলোর বাজেটের নির্দিষ্ট অংশ জেন্ডার সংবেদনশীল কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ, নারী-উন্নয়ন ও নারী-পুরুষের সমতার অর্জনে সুনির্দিষ্ট বাজেট-বরাদ্দ এবং বাজেট বাস্তবায়নের ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে এই বাজেট বরাদ্দ শুরু হয়ে, ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৩৪.৩৭ শতাংশ এবং জিডিপির ৫.২৩ শতাংশ জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ হয়। জেন্ডার বাজেট কার্যকর করতে এর সুষ্ঠু ব্যবহার, কার্যকর নজরদারি ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটিং প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত রিকারেন্ট, ক্যাপিটাল, জেন্ডার অ্যান্ড পভার্টি (আরসিজিপি) মডেল পরবর্তী সময়ে আইবিএএস++ এর সঙ্গে একীভূত করা হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আইবিএএস++ এর আওতায় নতুন জেন্ডার ফাইন্যান্স ট্র্যাকিং মডেল প্রবর্তিত হয়েছে, যাতে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক বাজেট থেকে জেন্ডার সম্পর্কিত বরাদ্দ পৃথক করা যায়। মডেলটি প্রযুক্তিগতভাবে প্রশংসিত হলেও এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন এখনও সম্পন্ন হয়নি। 
জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটিং এখনও অনুমিত মানবণ্টনের ওপর নির্ভরশীল, যার ফলে বাজেট বরাদ্দে অসামঞ্জস্য ও বিশ্লেষণে বিভ্রান্তি হতে পারে। মানবণ্টনের মানসম্পন্ন পদ্ধতি না থাকায় মন্ত্রণালয়গুলোর ব্যাখ্যায় অসংগতি দেখা দেয়। নারী-পুরুষ বিভাজিত তথ্যের অভাবে বাজেট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সমস্যা সৃষ্টি করে।
অনেক মন্ত্রণালয় জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটিংকে শুধু প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক বা দায়সারা পদক্ষেপ হিসেবে দেখে। সংশোধিত বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেটের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল ব্যয় না হওয়া বা কমে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। যেমন– ২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২৫৯,৬৯০.৯০ কোটি টাকা, যেখানে ২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট কমে দাঁড়ায় ২,৩৮,১৮৮ কোটি টাকায়– যা প্রায় ৮ শতাংশ কম। সংশোধিত বাজেটে জেন্ডার বাজেটের অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তরিত হওয়ায় জেন্ডার সংবেদনশীল কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নারী অধিকার সংগঠনগুলো বাজেটের প্রকৃত ব্যয় অনুসরণের দাবি জানালেও অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। 
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একটি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ হিসেবে জেন্ডার বাজেটিংয়ের অংশ হিসেবে ব্যয়ের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে সুপারিশ করেছে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় জানা গেছে যে, আইবিএএস++ সিস্টেমে প্রয়োজনীয় কোড প্রবর্তনের মাধ্যমে এ ধরনের ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব।
পরিশেষে, জেন্ডার বাজেটকে অর্থবহ করতে হলে এটিকে সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। খাতুন, নওরিন, কবির ও নীলর্মী (২০২৩) প্রস্তাব করেছেন যে বর্তমান জেন্ডার বাজেট কাঠামোতে চারটি মূল স্তম্ভ অন্তর্ভুক্ত করে পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। এগুলো হলো– লিঙ্গ বিভাজিত তথ্যের ব্যবহার, বাজেটসংক্রান্ত বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাজেট ব্যয়ের উন্নত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং বর্ধিত অর্থ সংগ্রহ ও যথাযথ ব্যবহার। এ চারটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে বাজেটের প্রক্রিয়া ও ব্যবহার হবে নারীবান্ধব ও ফলপ্রসূ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন ড র স ব দনশ ল ব জ ট প র ষ র সমত ন শ চ ত কর ব যবহ র বর দ দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম

শীতের আগাম সবজি হিসেবে বাজারে এসেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। মৌসুমের শুরুতে দাম স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বেশি থাকলেও সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম ইতিমধ্যে কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি পিছ ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

সরবরাহ বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এসব সবজির দাম আরও কমবে। ভরা মৌসুমে খুচরা পর্যায়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম কমে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে নেমে আসে।

সরকারি তথ্য বলছে, দেশে গত তিন বছরে ফুলকপির উৎপাদন বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং বাঁধাকপির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। উৎপাদন বাড়লেও মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে। প্রথম দিকে যেসব ফসল আসে, সেগুলো সাধারণত আকারে ছোট হয়। তবে বাজারে সরবরাহও তুলনামূলকভাবে কম থাকা এবং আগাম সবজির বিষয়ে মানুষের আগ্রহ থাকায় দাম বাড়তি থাকে।

ফুলকপি শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। রান্না তরকারি, ভাজি, স্যুপ, হালকা সেদ্ধ কিংবা সালাদ হিসেবে এটি খাওয়া যায়। বাঁধাকপিও ভাজি, স্যুপ ও সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। শীত মৌসুমে স্বাদের দিক থেকেও এ দুটি সবজি অনেকেরই পছন্দ।

উৎপাদন কেমন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২২–২৩ অর্থবছরে দেশে ১৩ লাখ ১২ হাজার টন ফুলকপি উৎপাদন হয়েছিল। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়ে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টন হয়। সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ফুলকপি উৎপাদন আরও বেড়ে ১৫ লাখ টনে ওঠে।

অন্যদিকে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টন বাধাঁকপি উৎপাদন হয়। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন হয়। গত অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টন হয়েছে। অর্থাৎ গত কয়েক বছর ধরে টানা ফুলকপি ও বাঁধাকপির উৎপাদন বাড়ছে।

বাঁধাকপির চেয়ে বেশি জমিতে ফুলকপি চাষ হয়। যেমন, গত অর্থবছরে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছিল, যেখানে বাধাঁকপি চাষ হয়েছিল ৪৪ হাজার হেক্টরে। উৎপাদনের দিক থেকেও ফুলকপি এগিয়ে।

ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ ও ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গত দুই বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তাঁরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে এই সবজি দুটির চারা লাগিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশা, এ বছর শীত মৌসুমেও ভালো ফলন ও দাম পাওয়া যাবে।

এখন আসছে আগাম ফলন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সম্প্রসারণ) এইচ এম মনিরুজ্জামান জানান, সাধারণত আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে বারি (শীতকালীন) ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ শুরু হয়। প্রথমে বীজ বপন করে চারা গাছ তৈরি করা হয়। ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর সেই চারা রোপণ করা হয়। সাধারণত চারা লাগানোর পরে তা বিক্রির উপযোগী হতে ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। অনেক সময় বাজারে দাম বাড়তি থাকলে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও (ছোট অবস্থায়) ফসল তুলে বিক্রি করেন কৃষকেরা।

আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বরে যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করা হয়, সেগুলো হচ্ছে আগাম ফসল। বর্তমানে এই আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে আসছে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এসব আগাম সবজি বাজারে আসবে। এরপর মৌসুমের মূল সবজি আসা শুরু করবে।

সাধারণত মৌসুমের শুরুতে কোনো সবজি এলে (আগাম) সেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এতে কৃষক, আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ী—সবাই লাভবান হন। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারও কৃষকেরা আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন।

আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারে কিছুটা ছোট হয়। বড় হওয়ার আগেই কৃষকেরা এগুলো তুলে বাজারে আনেন। যেমন, বর্তমানে যেসব ফুলকপি বাজারে আসছে, সেগুলোর ওজন ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে। ভরা মৌসুমে এক থেকে দেড় কেজি কিংবা তারও বেশি ওজনের ফুলকপি বাজারে আসে। বর্তমানে যেসব বাঁধাকপি আসছে, সেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে। পরবর্তী সময়ে দেড়–দুই কেজি আকারের বাঁধাকপি বাজারে আসবে।

চাষ কোথায় বেশি

কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ বেশি আসছে। ভরা মৌসুমে এসব এলাকার পাশাপাশি মানিকগঞ্জ ও সাভারসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সবজি দুটির সরবরাহ আসবে।

বিভিন্ন প্রজাতির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ফুলকপির ভালো জাতগুলোর মধ্যে বারি ফুলকপি-১ (রুপা), বারি ফুলকপি-২, ৩ ও স্নো হোয়াইট উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া হোয়াইট ফ্লাশ ২০২০ ও অটাম জায়ান্ট হাইব্রিড জাতও রয়েছে। বাঁধাকপির জাতের মধ্যে আছে বারি বাঁধাকপি-১ ও বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত)। আইপিএসএ বাঁধাকপি-১ গ্রীষ্মকালেও চাষ হয়।

ঢাকায় সরবরাহ ও পাইকারি দাম

গত শুক্র ও শনিবার রাতে কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসছে।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার আবদুল কাদির ভূইয়া প্রতিবছর শীত মৌসুমে ফুলকপির ব্যবসা করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ব্যাপারীর কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে প্রতি পিছ ফুলকপি কিনছেন তাঁরা। এরপর সেগুলো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। এই ফুলকপি আরও এক-দুই হাত ঘুরে খুচরায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপির দামও অনেকটা এমন।

অবশ্য অনেক কৃষক সরাসরি ঢাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি নিয়ে আসছেন। যেমন, যশোর সদরের নোঙ্গরপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার এ বছর সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে দেড় বিঘা জমির আগাম বাঁধাকপি কেটে বিক্রি করেছেন। ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় কম। সে কারণে গত মঙ্গলবার নিজেই ট্রাক ভাড়া করে বাঁধাকপি কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন।

আবদুস সাত্তার বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতি পিছ বাঁধাকপি ৩৩ টাকা করে বিক্রি করেছি। এর সঙ্গে ট্রাক ভাড়া, শ্রমিক মজুরি যোগ হবে। তবে ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যেত মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। সব মিলিয়ে আগাম বাঁধাকপি বিক্রি করে এখন ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। তাঁর আশা, ভরা মৌসুমেও মোটামুটি ভালো দাম থাকলে এ বছর মুনাফা করতে পারবেন; না হয় চাষের খরচ উঠে আয়-ব্যয় সমান সমান থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়েস্টিন ও শেরাটনের ব্যবসা বেড়েছে 
  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • নভেম্বরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা 
  • সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবসা বেড়ে তিন গুণ
  • তিন মাসে ওয়ালটনের মুনাফা ২২১ কোটি টাকা
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • পে স্কেল হচ্ছে না, কী হওয়া দরকার ছিল