ছোট ফেনী নদীর ভাঙন কি তিন উপজেলার মানচিত্র বদলে দিচ্ছে
Published: 21st, May 2025 GMT
ফেনী ও নোয়াখালীর তিন উপজেলায় ছোট ফেনী নদীর ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। এতে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কারণে ভূমি হারাচ্ছে তিন উপজেলা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যকর উদ্যোগের অভাবে সংকট দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ছোট ফেনী নদীসহ আরও দুটি নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে ফেনী ও নোয়াখালীর তিনটি উপজেলা। এতে কেবল ফেনী জেলারই ১৩ কিলোমিটার অংশে তীব্র ভাঙন হচ্ছে। একইভাবে ভাঙনকবলিত হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাও। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এখনো নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পূর্ণাঙ্গ চিত্র নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট ফেনী নদীর ভাঙন রোধ ও সমুদ্রের লোনাপানির জোয়ার থেকে রক্ষার জন্য সোনাগাজীর কাজীরহাটে নদীর ওপর ১৯৬১ সালে একটি রেগুলেটর নির্মাণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক তদারকির অভাবে নির্মাণের ৪১ বছর পর ২০০২ সালে রেগুলেটরটি নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে ৮ মার্চ ছোট ফেনী নদীতে কাজীরহাট রেগুলেটরের ২০ কিলোমিটার ভাটিতে মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১০ সালে রেগুলেটরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় ২০২৪ সালের ১৭ আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় মুছাপুর রেগুলেটর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে নদীর দুই পাড়েই এখন তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
১৯৬১ সালের কাজীরহাট রেগুলেটর ও ২০১০ সালে নির্মিত মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর পাড়ে রেগুলেটর না থাকায় জোয়ারের পানি ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে গত বছরের বন্যার পর থেকে ভাঙন বেড়েছে বহুগুণ।গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ফেনীর সোনাগাজীতে বিলীন হওয়া মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। ওই সময় উপদেষ্টা ওই এলাকায় গণশুনানিতে অংশ নেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কার্যত আট মাসেও কোনো পদক্ষেপ দেখছেন না স্থানীয় লোকজন।
নদী ভাঙনের দৃশ্য দেখছেন এক নারী। সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চর সাহাভিখারী গ্রামের বাঁশবাড়িয়া এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অজয় ও আমার মাথা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়: কাজল
বলিউড সিনেমার জনপ্রিয় তারকা অজয় দেবগন ও কাজল। তাদের রুপালি জগতের রসায়নও বাস্তব জীবনে গড়িয়েছে। ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন তারা। দাম্পত্য জীবনে ২৬ বছর পার করছেন এই যুগল। তাদের সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছেন একটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান।
দাম্পত্য জীবনের বয়সের সঙ্গে অজয়-কাজলের বয়সও বেড়েছে। ৫৬ বছরের অজয়ের চেয়ে ৬ বছরের ছোট কাজল। দীর্ঘ সময় এক ছাদের নিচে বসবাস করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। অজয়ের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, স্বামী হিসেবে অজয় কেমন? জবাবে কাজল বলেন, “স্বামী হিসেবে অজয়ের মেজাজ পঞ্চাশে পঞ্চাশ। আমাদের দু’জনের মাথাই খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
আমিরের বিয়ের আনন্দ নষ্ট করেন ক্রিকেটার জাভেদ
প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা
ঝগড়া হলে কে মিটমাট করেন? উত্তরে কাজল বলেন, “যদি ঝগড়া হয়, তাহলে কে মিটমাট করবে, তা নির্ভর করে শেষ পর্যন্ত তর্কে কে জিতেছে তার উপর। আমরা আমাদের ঝগড়ার রেকর্ড বজায় রাখারও চেষ্টা করি না। তাই, সবকিছু নির্ভর করে ঝগড়া শেষে পুরো বিষয়টা কে কতটা মনে রাখছে তার উপর।”
১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক এটিও নাকি তখন কেউ চায়নি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের।
গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল।
কাজল অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মা’। মিথলজিক্যাল হরর ঘরানার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিশাল ফুরিয়া। গত ২৭ জুন ভারতের দেড় হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এটি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন অজয়।
ঢাকা/শান্ত