সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা ১১৮ বারের মতো পেছাল। ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা প্রতিবেদনের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গর র ন স ব দ ক হত য

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরিয়ার হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে উপাচার্যের সঙ্গে সাদা দলের বৈঠক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিস–সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক মহিউদ্দিন, ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক আবদুর রশীদ এবং স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম এ কাউসারসহ অন্য আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সাদা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাহরিয়ারের প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সাদা দলের নেতারা। আলটিমেটাম শেষ হওয়ায় তদন্তের অগ্রগতি জানতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাদা দাল। প্রায় দুই ঘন্টার বৈঠকে উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।

এ বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা আমাদের কথা জানিয়ে এসেছি। যদি তাদের ব্যবস্থায় আমরা সন্তুষ্ট হতে না পারি, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এ বিষয়েও আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার। রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহরিয়ার আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। শাহরিয়ার স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ