বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। রাহাত হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে।

বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাকে জহিরুল ইসলাম হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে রামপুরা ব্রিজ ও বনশ্রী এলাকায় আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে সেখানে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা করা হয়। এতে অনেকে আহত হন। জহিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি রামপুরা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

ঢাকা/এম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য চ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যুবকের মৃত্যু, পাল্টাপাল্টি হামলা

কুমিল্লা নগরীর একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে কাজী সোহেল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর ডুলিপাড়া নগরীর নিউ যত্ন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ও সোহেলের পরিবার প্রতিবাদ জানালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।

কাজী সোহেল জেলার বরুড়া উপজেলার ১০নং উত্তরশীল মুড়ি ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে।

সোহেলের বড় বোন মাসুদা বেগম সমকালকে জানান, আমার ভাইকে ৩ মাস ১২ দিন আগে নগরীর ডুলীপাড়া এলাকায় নিউ যত্ন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইকে ওই নিরাময় কেন্দ্রে দুপুরের খাবার খাইয়ে আমরা বাড়ি চলে যায়। বিকেলে ওই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে আমার ভাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ওই নিরাময় কেন্দ্রে ছুটে আসলে এখানের শত শত লোকজনের উপস্থিতিতে দেখি। আমার ভাইকে নিরাময় কেন্দ্রের  লোকজন মেরে ফেলেছে বলে প্রতিবাদ করলে নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্রের এক কর্মচারী বলেন, সোহেল ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

রাত পৌনে দশটার দিকে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ