বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। 

শুক্রবার (২৩ মে) ভোরে শেরপুর শহরের সিংপাড়া এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেরপুর সদর থানার ওসি জুবাইদুল আলম দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন গ্রেপ্তার মাসুদ রানা। আন্দোলনে ছাত্র হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আরো পড়ুন:

অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

এবার যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের

শেরপুর সদর থানার ওসি জুবাইদুল আলম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

বেওয়ারিশ প্রাণীদের অবহেলা নয়

বেওয়ারিশ প্রাণী আমাদের পরিবেশের অদৃশ্য সৈনিক। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অংশ হিসেবে প্রাণীরা আমাদের পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মধ্যে কিছু প্রাণী রয়েছে, মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখে। আবার কিছু প্রাণী আছে, আমাদের অবহেলার কারণে ‘বেওয়ারিশ’ হয়ে গেছে। এসব প্রাণী বিশেষত শহরাঞ্চলে, রাস্তার ধারে, পার্কে কিংবা বাসাবাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাদের জীবনের প্রতি দায়িত্ব ও সহানুভূতির দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অনেকের মধ্যে গড়ে ওঠেনি।
এরা কখনোই নিজেদের জীবনধারণের জন্য অপরাধী নয়, বরং মানব সভ্যতার অবহেলার শিকার। এসব প্রাণীর অবস্থা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।
‘বেওয়ারিশ’ শব্দটি শুনলে অনেকেই ধারণা করি, এই প্রাণীরা কোনো অপরাধ করেছে অথবা তাদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু আমরা কি জানি, এসব বেওয়ারিশ প্রাণী একইভাবে জীবন ধারণের অধিকারী, ঠিক যেমন আমরা মানুষ হিসেবে অধিকারী? তাদের প্রতি আমাদের অবহেলা নয়; ভালোবাসা ও সহানুভূতির দাবি রয়েছে। 
বেওয়ারিশ প্রাণী বিশেষ করে কুকুর-বিড়াল আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখা যায়। তাদের জীবনযাত্রার বাস্তবতা অনেক সময় আমাদের চোখে পড়ে না। এসব প্রাণী, যাদের কোনো নির্দিষ্ট মালিক নেই এবং যারা রাস্তা অথবা জনবহুল জায়গায় বসবাস করে, তাদের জীবন কাটে খাদ্যাভাব ও বিপদের মধ্যে।
বেওয়ারিশ প্রাণীরা সাধারণত মানুষের সাহায্য ছাড়াই জীবন যাপন করে। তারা নিজেরাই খাদ্য সংগ্রহ করে, ময়লা-আবর্জনা খেয়ে বাঁচে এবং নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক উদ্যোগের অভাব এসব প্রাণীর জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। এই প্রাণীদের সুরক্ষা ও সহায়তা জরুরি।
মানুষের মতো প্রাণীরাও প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজে বেওয়ারিশ প্রাণীরা প্রায়ই অবহেলার শিকার হয়। তাদের খাদ্য, চিকিৎসা কিংবা আশ্রয়ের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় নানা বিপদের সম্মুখীন হয়। মানবিকতা ও নৈতিকতার স্বার্থে বেওয়ারিশ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া শুধু কোনো একক ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়। বরং সরকার, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই এ সমস্যার যথাযথ সমাধান সম্ভব।
বর্তমানে দেশে কিছু এনজিও এবং প্রাণিপ্রেমী ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেওয়ারিশ প্রাণীদের চিকিৎসা, খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই প্রয়াস অত্যন্ত অপ্রতুল। রাজধানী এবং বড় বড় শহরেও বেওয়ারিশ প্রাণীদের দুর্দশা চোখে পড়ার মতো। এমন বাস্তবতায় প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত ও টেকসই ব্যবস্থা, যাতে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাণীরাও সম্মান ও সহানুভূতির সঙ্গে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।
সরকারের উচিত বেওয়ারিশ প্রাণীদের সুরক্ষা ও সহায়তার লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করা। দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় বেওয়ারিশ প্রাণীদের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরি। 

nসেলিম রানা: গাজীপুর
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ