ইউক্রেন সীমান্তে ‘বাফার জোন’ করছে রাশিয়া
Published: 23rd, May 2025 GMT
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তে একটি ‘নিরাপত্তা বাফার জোন’ তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, সীমান্তে প্রয়োজনীয় বাফার জোন তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর এটি তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। যেসব স্থান দিয়ে ইউক্রেন গুলি চালায়, সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।
শুক্রবার সিএনএনের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিওরহি তিখি বলেন, পরিকল্পনাটি ‘আক্রমণাত্মক’। এটি প্রমাণ করেছে, ‘রাশিয়া এখন শান্তি প্রচেষ্টার বাধা।’
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রত্যাশিত বন্দি বিনিময়কে সামনে রেখে এ ঘোষণা এলো। গত সপ্তাহে তুরস্কে মুখোমুখি আলোচনার ফলস্বরূপ এ বন্দি বিনিময় হচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যে কোনো স্তরে এটা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা।
এর আগে গত মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে ‘বাফার জোন’ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বাফার জোন নির্মাণের ওপর আবারও জোর দেন। বৈঠকে তিনি সীমান্ত অঞ্চলে ‘ধ্বংস হওয়া সবকিছু পুনরুদ্ধার ও পুনর্নির্মাণের’ প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। পুতিন বলেন, (আমাদের) লোকজনকে তাদের গ্রাম, বসতিতে ফিরে যেতে সহায়তা করতে হবে। সেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল করতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে হবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আরেকটি বন্দি বিনিময় শুরু হয়। গত তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটা সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তবে একজন রুশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দি বিনিময়ের তথ্য জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে তুরস্কে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সরাসরি বৈঠকের পর ইউক্রেন ও রাশিয়া ১ হাজার বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে।
রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের ১৫৯টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রুশ বিমানবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় হামলার উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলো পাঠিয়েছিল কিয়েভ, যার অন্তত ২০টি ছিল মস্কো অভিমুখী। রুশ ভূখণ্ডের আকাশসীমায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১৫৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। আগের দিন, তিন শতাধিক ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছিল মস্কো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন সীমান্তে ‘বাফার জোন’ করছে রাশিয়া
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তে একটি ‘নিরাপত্তা বাফার জোন’ তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, সীমান্তে প্রয়োজনীয় বাফার জোন তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর এটি তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। যেসব স্থান দিয়ে ইউক্রেন গুলি চালায়, সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।
শুক্রবার সিএনএনের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিওরহি তিখি বলেন, পরিকল্পনাটি ‘আক্রমণাত্মক’। এটি প্রমাণ করেছে, ‘রাশিয়া এখন শান্তি প্রচেষ্টার বাধা।’
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রত্যাশিত বন্দি বিনিময়কে সামনে রেখে এ ঘোষণা এলো। গত সপ্তাহে তুরস্কে মুখোমুখি আলোচনার ফলস্বরূপ এ বন্দি বিনিময় হচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যে কোনো স্তরে এটা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা।
এর আগে গত মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে ‘বাফার জোন’ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বাফার জোন নির্মাণের ওপর আবারও জোর দেন। বৈঠকে তিনি সীমান্ত অঞ্চলে ‘ধ্বংস হওয়া সবকিছু পুনরুদ্ধার ও পুনর্নির্মাণের’ প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। পুতিন বলেন, (আমাদের) লোকজনকে তাদের গ্রাম, বসতিতে ফিরে যেতে সহায়তা করতে হবে। সেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল করতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে হবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আরেকটি বন্দি বিনিময় শুরু হয়। গত তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটা সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তবে একজন রুশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দি বিনিময়ের তথ্য জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে তুরস্কে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সরাসরি বৈঠকের পর ইউক্রেন ও রাশিয়া ১ হাজার বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে।
রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের ১৫৯টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রুশ বিমানবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় হামলার উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলো পাঠিয়েছিল কিয়েভ, যার অন্তত ২০টি ছিল মস্কো অভিমুখী। রুশ ভূখণ্ডের আকাশসীমায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১৫৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। আগের দিন, তিন শতাধিক ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছিল মস্কো।