ঢাকায় বিডিএফ ডায়ালজিক বিতর্কের গ্র্যান্ড স্লাম শুরু
Published: 23rd, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের (বিডিএফ) ডায়ালজিক-২০২৫ এর স্কুল-কলেজ অধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার ঢাকায় এ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়েছে সারাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৪০টি স্কুল ও কলেজের বিতর্ক দল। দুই দিনব্যাপী এই গ্র্যান্ড স্লাম হবে যুক্তি, প্রকাশ ও সমালোচনামূলক চিন্তার এক মহোৎসব, যার লক্ষ্য হলো তরুণ কণ্ঠে একটি জাতীয় সংলাপের সূচনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা তরুণদের নেতৃত্বে বিতর্ক ও সংলাপের রূপান্তরমূলক শক্তিকে তুলে ধরে বলেন, এমন উদ্যোগ একটি ন্যায়ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভবিষ্যতমুখী সমাজ গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি এবং ডায়ালজিক ২০২৫-এর অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী প্লাবন গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি আর্থ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা সাত্তার তৃণা, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি)-এর যৌথ পরিচালক (গবেষণা) সানজিদা রহমান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল মতিন এবং বিডিএফ-এর সাবেক সভাপতি ও খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডাঃ আবদুন নূর তুষার।
অভিনন্দন বক্তব্যে প্লাবন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিডিএফ কেবল প্রতিযোগিতার আয়োজক নয়, আমরা একটি জাতীয় মঞ্চ নির্মাণ করেছি যেখানে তরুণরা মনোযোগ দিয়ে শোনে, নৈতিকভাবে যুক্তি তুলে ধরে এবং নির্ভীকভাবে কথা বলে। আজকের খণ্ডিত সময়ে এই তরুণদের সম্মেলন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শ্রদ্ধাশীল ও গঠনত্মক সংলাপের মধ্যেই রয়েছে সত্যিকারের পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
অতিথি ডা.
তিনি বলেন, বিডিএফ তরুণদের শুধু মঞ্চে কথা বলতে নয়, অর্থবহ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাজ বদলাতে উদ্বুদ্ধ করছে।
শাকিলা সাত্তার তৃণা জলবায়ু ন্যায়বিচার ও কমিউনিটি ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তরুণদের আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়।
অন্যদিকে, সুনজিদা রহমান প্রমাণভিত্তিক যুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের নীতিনির্ধারক।
মো. আবদুল মতিন বলেন, শব্দের কোলাহলে ভরা এই সময়ে যারা বিতর্ক বেছে নিয়েছে, তারা আসলে চিন্তার পথকে বেছে নিয়েছে।
বিডিএফ ডায়ালজিক ২০২৫-এর মূল ভাবনা হলো—তথ্যভিত্তিক গণতন্ত্র, পরিবেশ, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও যুক্তির মাধ্যমে মতভেদ মোকাবিলার ক্ষমতার ওপর। আগামী তিন দিন ধরে প্রতিযোগীরা বিতর্কের নানা রাউন্ডে অংশ নেবে, যেখানে আলোচ্য বিষয়গুলো সমাজের প্রচলিত ধারা চ্যালেঞ্জ করবে, গভীর চিন্তায় আহ্বান জানাবে এবং ভিন্ন মতকে উদযাপন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিডিএফের হেড অব পার্টনারশিপ এইচ এম সাবির নূর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম আহমেদ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিএফের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল মেহেদী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট ম্যানুয়ালি গণনার আবেদন করলেন উমামা ফাতেমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট ম্যানুয়ালি (হাতে) গণনা করার আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা। সোমবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচনকেন্দ্রিক স্বচ্ছতা যাচাইকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের তালিকার কপি, ওএমআর মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি পুনরায় ভোট গণনা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার অনুরোধ করছি।’
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ওই দিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলার মধ্যে রাত সোয়া তিনটার পর ফেসবুকে এক পোস্টে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উমামা ফাতেমা।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। অন্যদিকে ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা।
আরও পড়ুনডাকসুর ২৮ পদে কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো, জয়ের ব্যবধান কত১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫