হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে নিখোঁজের ১০ দিন পর ফারুক মিয়া (৪৯) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার মনতলা অপরুপা স্কুলের পশ্চিম পাশের জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে এলাকাবাসী পচা-দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পেয়ে থানায় খবর দেন। এদিকে, লাশ পাওয়ার খবরে ফারুকের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরনে থাকা কাপড় দেখে মরদেহটি ফারুকের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের ছেলে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত ১৩ মে বিকেলে বাজার করতে গিয়ে বাবা নিখোঁজ হন। সেদিন রুবেল নামের এক ব্যক্তি বাবার নম্বরে কল দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিলাম না। বন্ধ ছিল তার মোবাইল নম্বর।’’

আরো পড়ুন:

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, মরদেহে হামলা

পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করেছিলেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘মাধবপুর থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। তবে, জিডি করা হয়নি।’’

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগান

মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী। প্রতিটি প্রজন্ম সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। তারুণ্য হলো জীবনের সবচেয়ে কর্মতৎপর সময়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তারুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারুণ্য নতুন বিষয় শিখতে আগ্রহী। তারা যুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা এবং প্রবীণদের পুরোনো চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জাতির স্বার্থেই তাদের ক্ষমতায়ন দরকার। তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য জ্ঞানার্জনে সহায়তা করা দরকার। সমাজকে তাদের লুকানো সম্ভাবনা বুঝতে হবে। সমাজের সমস্যা সম্পর্কে তাদের সংবেদনশীল করা এবং তারা কীভাবে এসব নির্মূলে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে তাদের জ্ঞান দিতে হবে। 
সময়ের গুরুত্ব বোঝা তরুণদের দায়িত্ব। তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ানুবর্তিতা অপরিহার্য। তরুণদের জীবনে শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে।
যৌবন আবেগে ভরপুর। শৃঙ্খলা না থাকলে তরুণরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করা দরকার। তরুণদের আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয়। এভাবেই তরুণরা একটি চিন্তাশীল সমাজ গঠন করতে সক্ষম হবে। তা ছাড়া তরুণদের নৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তারা যেন নিবেদিতপ্রাণ হয়, যা তাদের জাতির জন্য সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে চালিত করবে। পাশাপাশি তরুণদের অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহসী হতে হবে। নির্ভীক তরুণরাই পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে। তারা যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তার প্রতি মনোযোগী হওয়া দরকার। তরুণ প্রজন্মের  লক্ষ্যমুখী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখতে হবে, যে জাতির মধ্যে উদ্যমী, কৌতূহলী এবং কঠোর পরিশ্রমী তরুণ আছে এবং তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে 
না। আমাদের দেশের তরুণ শক্তিকে 
যাতে কাজে লাগাতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আব্দুল্লাহ আল জান্নাত নেওয়াজ: সহকারী প্রকৌশলী, এসেনসিয়াল ড্রাগ্স 
কোম্পানি লিমিটেড
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ