দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল ফারুকের গলিত লাশ
Published: 23rd, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে নিখোঁজের ১০ দিন পর ফারুক মিয়া (৪৯) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার মনতলা অপরুপা স্কুলের পশ্চিম পাশের জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে এলাকাবাসী পচা-দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পেয়ে থানায় খবর দেন। এদিকে, লাশ পাওয়ার খবরে ফারুকের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরনে থাকা কাপড় দেখে মরদেহটি ফারুকের বলে শনাক্ত করেন।
নিহতের ছেলে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত ১৩ মে বিকেলে বাজার করতে গিয়ে বাবা নিখোঁজ হন। সেদিন রুবেল নামের এক ব্যক্তি বাবার নম্বরে কল দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিলাম না। বন্ধ ছিল তার মোবাইল নম্বর।’’
আরো পড়ুন:
লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, মরদেহে হামলা
পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করেছিলেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘মাধবপুর থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। তবে, জিডি করা হয়নি।’’
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড
টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।
তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।