জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য না: আনু মুহাম্মদ
Published: 23rd, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মতাদর্শিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা বলে মনে করেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, সরকার সেই কাজের দিকে না গিয়ে, অন্যদিকে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে তারপর মান–অভিমান করা, এটা তো কোনো গ্রহণযোগ্য কাজ না।
‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: কেমন বাজেট চাই?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথাগুলো বলেন। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকারের স্থায়ী কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই। এই সরকার দীর্ঘদিন থাকবে না। তাই তার পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব না। তবে সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছু কিছু পরিবর্তনের গতিমুখ তৈরি করতে পারে।
মানুষ পরিশ্রম করছে, সম্পদ তৈরি হচ্ছে, ফলে টাকাপয়সার অভাব নেই উল্লেখ করে অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, সম্পদের ওপর জনগণের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পর। সরকারের এটা প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকারের দিকে না গিয়ে বিদেশি কোম্পানি, বিদেশি বিনিয়োগ, স্টারলিংক, এলএনজি আমদানি—এসব দিকে মনোযোগ দেওয়া তো এই সরকারের দায়িত্ব না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশে অগ্রসর হওয়ার জন্য জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা, কৃষি–শিল্পের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা এবং জনগণের জন্য পরিবেশবান্ধব যে পথ, সেই পথটাই যাতে শক্তিশালী হয়, সেটার জন্য প্রয়োজনীয় মতাদর্শিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা। সরকার সেই কাজটা করবে। সেই কাজের দিকে না গিয়ে, অন্যদিকে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে, তারপর মান–অভিমান করা, এটা তো কোনো গ্রহণযোগ্য পথ না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা না করে, ধরেন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা এমনভাবে ঘোষণা করলেন এটা দিতেই হবে, যেকোনো মূল্যে দিতে হবে। হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি) এর নতুন নাম দিয়েছে ত্রাণ চ্যানেল। দুটির ঘটনা তো একই। এগুলো করতে হবে। কিংবা স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। সবগুলোই কোনো না কোনোভাবে জাতীয় সক্ষমতার বিকল্প হিসেবে হাজির করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে যেসব দুর্বলতা আছে, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব আছে—সেগুলো দূর করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় তৎপরতা বাড়াতে পারত। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার জন্য পাঠাতে পারত। চট্টগ্রাম বন্দরে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো হলে সেটার স্থায়ী ও স্থিতিশীল প্রভাব ভবিষ্যতের জন্য থাকত।
আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টা হতাশ–ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা১৫ ঘণ্টা আগেবাজেটে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বিডার চেয়ারম্যান হঠাৎ করে এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি করে এলেন। পেট্রোবাংলা জানে না। এটা তো হওয়ার কথা না। দেশের দরকার ছিল গ্যাস উত্তোলনে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো। সেটার জন্য গত ৯ মাসে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সামনের বাজেটে এই জিনিসগুলো থাকতে হবে। জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিগত অবস্থানের একটা পরিবর্তন করতে হবে। সেটা হলে সস্তায় গ্যাস, বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আমদানির জন্য এত ব্যয়, ভর্তুকি দিতে হবে না।
সৈয়দপুর, পার্বতীপুর ও চট্টগ্রামে রেলওয়ের যেসব ওয়ার্কশপ ছিল, সেগুলোর জনবল কমানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ওয়ার্কশপের সক্ষমতা কমিয়ে রেলের ইঞ্জিন, বগি, ওয়াগন—সবকিছু আমদানি করা হয়েছে। অথচ ওয়ার্কশপ শক্তিশালী করা হলে বাংলাদেশে বগি, ইঞ্জিন—সবই নির্মাণ করা সম্ভব হতো।
‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: কেমন বাজেট চাই?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় (বাঁ থেকে) ড.হারুন উর রশীদ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও মোশাহিদা সুলতানা। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ র জন য প সরক র র আমদ ন হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রভাষকসহ চার পদে নিয়োগ দিচ্ছে কেডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কেডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩টি বিষয়ে প্রভাষকসহ চার পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
পদের নাম ও বিবরণ১। প্রভাষক (পদার্থবিজ্ঞান)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্সসহ ২য় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস প্রিলি: পরীক্ষার হলে কোন ভুলে পিছিয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫২। প্রভাষক (ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্সসহ ২য় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
৩। প্রভাষক (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটি বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্স বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১ ঘণ্টা আগে৪। অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড হতে এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ। এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/সমমানসহ ৬ (ছয়) মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ১টির বেশি ৩য় বিভাগ/সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
সব পদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩৫ বছর
আরও পড়ুনজাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনে শর্তাবলি১। আগ্রহী প্রার্থীদের খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট এর নোটিশ বোর্ড হতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে হাতে লিখে পূরণ করে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি, নাগরিকত্ব সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত সত্যায়িত কপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে), ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি এবং আবেদন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্রাদি (যদি থাকে) আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
২। আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে এবং কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, গ্রেড-১৩-তে বেতন১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদন ফি১। প্রভাষক পদের জন্য ৫০০ টাকা।
২। অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদের জন্য ৩০০ টাকা।
আবেদনের সময়সীমা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫