গুটিকয় ব্যক্তির শিশুসুলভ অপরিপক্ব চিন্তা ও অদূরদর্শিতার কারণে জাতি আজ বিভক্তির পথে—এই মন্তব্য করে ইসলামী ছাত্রশিবির বলেছে, দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা বরাবরের মতো এবারও জাতির ভাগ্যে ব্যর্থতা ও গোলামির চিহ্ন এঁকে দিতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় সংকট মোকাবিলা ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শুক্রবার ‘জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান’ শিরোনামে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম। তাঁদের বিশ্বাস, নতুন প্রজন্ম জীবন দিয়ে হলেও জুলাইকে সফল করার মাধ্যমে একটি উন্নত, অগ্রসর, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের দুই শীর্ষনেতা বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন দেশ গঠনের এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও জাতির ভাগ্যে ব্যর্থতা ও গোলামির চিহ্ন এঁকে দিতে চায় দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা।.

..আমরা বিশ্বাস করি, জাতির এই ক্রান্তিকাল থেকে উত্তরণে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় ও সুসংহত করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতির কঠিন বাস্তবতায়, বিশেষ করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের চতুর, সর্বগ্রাসী ও নির্মম কৌশলের মুখে আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে। সেটি হলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। এর পরিবর্তে জাতীয় ঐক্য বিনাশে যারা ভূমিকা রাখবে, ইতিহাস তাদের “জুলাই গাদ্দার” হিসেবে চিহ্নিত করবে।’

ইসলামী ছাত্রশিবির বলেছে, ‘গুটিকয় ব্যক্তির শিশুসুলভ অপরিপক্ব চিন্তা ও অদূরদর্শিতার কারণে জাতি আজ বিভক্তির পথে। তারা ফ্যাসিবাদী বয়ানগুলোকে সামনে এনে দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে একে অন্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভক্ত করার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। অথচ এ বাহিনী জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানসহ ইতিহাসের প্রতিটি সংকটে জাতির পাশে ছিল এবং দেশের শান্তি ও স্থিতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তবে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের ওপর জুলুম চালিয়েছে, তারা অপরাধী হিসেবে শাস্তিযোগ্য।’

সব ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ও নাগরিকদের ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় সংকট মোকাবিলায় ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষ এখনো জুলাইয়ের স্পিরিটকে গভীরভাবে লালন করেন। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন প্রজন্ম জীবন দিয়ে হলেও জুলাইকে সফল করার মাধ্যমে একটি উন্নত, অগ্রসর, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র পথ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালক বাবার আকুতি শুনলেন তারেক রহমান, দিলেন বিমানের টিকিট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছিল রিকশাচালক এক বাবার আকুতি। আর তাতেই নজর পড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই ছেলেকে সৌদি আরব পাঠানোর বিমানের টিকিট তুলে দিলেন সিলেট বিএনপির নেতারা। আর তাতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম।

জানা যায়, নগরীর রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম প্রতিদিন টাকা জমিয়ে রাখতেন একটি মাটির ব্যংকে। সেই জমানো টাকা দিয়ে সৌদি আরবের ভিসার ব্যবস্থা করেন। কয়েকদিন আগে জানতে পারেন সৌদি আরবে তার ছেলের ভিসা হয়েছে। ভিসা হাতে পাওয়ার পর জানতে পারেন ভিসার মেয়াদ কম। রিকশা চালিয়ে এই টাকা যোগাড় করতে তার বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আর ততদিনে মেয়াদ চলে যাবে ভিসার। তার এই আকুতি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তার এই আকুতি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপর রফিকুল ইসলামের ছেলের সৌদি আরবের টিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার হাউজিং এস্টেট কয়েস লোদীর কার্যালয়ে রফিকুল ইসলামের হাতে টিকিট তুলে দেন বিএনপি নেতারা।

রফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। অভাবের সংসার। কোনোরকম টাকা জমিয়ে ভিসার ব্যবস্থা করেছিলাম। টিকিটের টাকা এভাবে আসবে কল্পনাও করতে পারিনি। আমি তারেক রহমানের কাছে চির কৃতজ্ঞ। সহযোগিতার জন্য রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকেও ধন্যবাদ জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব কাদির শাহী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মজমুদার, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়ের বাসিত তপু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির মজুমদার, দেওয়ান জাকির প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ