জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ড্র বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের
Published: 23rd, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে প্রথম আনঅফিসিয়াল চারদিনের টেস্টে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টিতে খেলা অসম্পূর্ণ থাকায় ম্যাচটি অমীমাংসিত থেকে যায়।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ৩০৮ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ২৪৩ রানে, ফলে ৬৫ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫ রান সংগ্রহ করেছিল। চতুর্থ দিন সকালে শুরুতেই ধস নামে ব্যাটিংয়ে। একে একে সাজঘরে ফেরেন আইচ মোল্লা (১১), শাহাদাত হোসেন (২) ও আরিফুল ইসলাম (১৪)।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে পরিস্থিতি সামাল দেন প্রীতম কুমার ও মঈন খান। এই জুটি ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে দলের স্কোরবোর্ডে। যখন ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৮৩ রান, তখনই বৃষ্টির হানা। বৃষ্টি থামলেও মাঠ খেলার অনুপযুক্ত থাকায় ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। অপরাজিত থাকেন প্রীতম (২১*) ও মঈন (১৮*)। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সিমেলেনে ও এনটুলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
বাংলাদেশের স্পিনার রাকিবুল হাসান প্রথম ইনিংসে ২১ ওভার বল করে মাত্র ৬৪ রান খরচায় শিকার করেন ৭টি উইকেট। অসাধারণ এই বোলিং পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন তিনি।
এই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ চারদিনের ম্যাচ শুরু হবে আগামী ২৭ মে, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট দিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন
নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আতংক। আর এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট সরবরাহ করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০০০ টি কিট হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো তামশিদ ইরাম খান এবং জেলা প্রশাসন ও হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
কিট হস্তান্তর শেষে হাসপাতালটির ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক পরস্থিতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত কিট, ওষুধ ও স্যালাইন মজুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা সব দিক থেকে তৎপর রয়েছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছি।
আমরা আশা করি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ কিট প্রয়োজন, তা হাসপাতালের কাছে ছিল না। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে, তারা সাধারণত অসহায় অবস্থায় আসে। এ সময় তাদের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দিতে পারে।
তাই শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে আশার কথা, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।