বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পর এবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৩ মে) রাত ৮টা ২৬ মিনিটে তারা সেখানে পৌঁছেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
বৈঠকে সাম্প্রতিক ইস্যু ও সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, একই স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
ঢাকা/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়াচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন
বরগুনায় গত বছরের (২০২৪) জুন মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১২। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলায় চলতি বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৬৩ জন। গত বছর এ সময়ে যত রোগী ছিল, এবার উপকূলীয় এ জেলায় সেই তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুণের বেশি। দেশের মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৫ ভাগ এখন এই এক জেলায়। বরগুনার ডেঙ্গুর বিস্তার দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
জেলার এ পরিস্থিতিকে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ সঙ্গে তুলনা করলেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণের এই জনপদে ঘূর্ণিঝড় প্রায় প্রতিবছর হয়। তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকে আমরা আবহাওয়ার বার্তা পাই। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। প্রস্তুতির কারণে জানমালের ক্ষতি কমে। কিন্তু এবার এই ডেঙ্গুর ঘূর্ণিঝড় এল আগাম বার্তা ছাড়া। আমাদের একেবারে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে।’
বরগুনায় এবার ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার কি একেবারে আকস্মিক ঘটনা? তথ্য–উপাত্ত এমন কথা বলে না। গত বছর বরগুনায় ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৪ জন। দেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত জেলা ছিল বরগুনা। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে সর্বোচ্চ সংক্রমণের এলাকা ছিল কক্সবাজার। এটিও উপকূলের একটি জেলা। উপকূলের জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু বাড়ছে। দেশের অন্য জনপদের তুলনায় উপকূলের জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি—এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে।
দক্ষিণের এই জনপদে ঘূর্ণিঝড় প্রায় প্রতিবছর হয়। তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকে আমরা আবহাওয়ার বার্তা পাই। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। প্রস্তুতির কারণে জানমালের ক্ষতি কমে। কিন্তু এবার এই ডেঙ্গুর ঘূর্ণিঝড় এল আগাম বার্তা ছাড়া। আমাদের একেবারে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে।বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহউষ্ণায়ন, লবণাক্ততার বিস্তার, বৃষ্টিপাতের হেরফের, তাপমাত্রার পরিবর্তন—এসবের সঙ্গে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বিস্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু উপকূলই নয়, পুরো বাংলাদেশের সর্বত্র ডেঙ্গুর বিস্তারের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক উঠে এসেছে নানা গবেষণায়। জলবায়ুর পরিবর্তনের পাশাপাশি অবশ্য অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
এসব কারণে এবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে, তা আগে দেখা যায়নি। গত জুন মাসে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) বরগুনায় এডিস মশার জরিপ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এডিস মশার লার্ভা বা শূককীটের উপস্থিতি দ্বিগুণের বেশি। ওই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, ঘরে ঘরে এখন এডিস ছড়িয়ে পড়েছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে অভিভাবক