ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হওয়া মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্করের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে পিবিআই ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল। বাদী জসিম উদ্দিন নারাজি দিলে আদালত তা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাবুল আক্তার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন– সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই মো.

লিয়াকত, এসআই সন্তোষ কুমার চাকমা, এসআই কামরুল, এসআই তালাত মাহমুদ, ওসি প্রণব চৌধুরী, ওসি মর্জিনা বেগম, এসআই নজরুল, এসআই হান্নান, ব্যবসায়ী এস এম সাহাবুদ্দিন, বিষ্ণুপদ পালিত, কাজল কান্তি বৈদ্য ও জিয়াউর রহমান। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট চট্টগ্রাম আদালতে নালিশি মামলাটি করা হয়েছিল।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জুয়েল দাশ বলেন, মামলাটি বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে এসআইসহ ৩ জনের নামে বিভাগীয় মামলা

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানা হাজত থেকে আসামি গোলাম রাব্বানীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শনিবার (২৪ মে) তাদের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির থাকার কথা।

অভিযুক্তরা হলেন- ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বানিয়াচং থানার দায়িত্বরত এসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই রুহুল আমিন ও নারী কনস্টেবল ইয়াছমিন বেগম।
ওই তিনজনসহ সাক্ষী দেওয়ার জন্য আরও ১০ জনকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করানোর জন্য গত ৪ মে বানিয়াচং থানার ওসিকে নোটিশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আতিকুল হক।

সাক্ষীদের মধ্যে থানার তৎকালীন ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু হানিফ ও উত্তর-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান রয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল বড় বাজারের তিন দোকানীকে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়।

মৃত গোলাম রব্বানী বানিয়াচং উপজেলা সদরে নন্দিপাড়া মহল্লার মিহির উদ্দিনের ছেলে। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাজতের ভেতরে পরনের কাপড় দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়- ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বড় বাজার থেকে গোলাম রাব্বানীকে একটি ইজিবাইক চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেখা যায়, হাজতের ভেতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার দেহ ঝুলছে। পরে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ গোলাম রব্বানীকে প্রহার করে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তার পরিবার অভিযোগ তুললে ঘটনার চারদিন পর ৩০ ডিসেম্বর এসআই মনিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয় এবং অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে আলাদা ৩টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। জানা গেছে- এসআই মনিরুল এখন গাজীপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।

রাব্বানীর বড় ভাই মঈন উদ্দিন বলেন, “আমার ভাইয়ের বয়স মাত্র ১৭ বছর ছিল। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। তাকে পুলিশ একের পর এক চুরির মামলা দিয়ে জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। ঘটনার দিন তাকে যখন এসআই মনিরুল হক নিয়ে যান, তখন আমি জিজ্ঞেস করলে জানিয়েছিলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নেওয়া হচ্ছে। পরে আমার ভাইয়ের লাশ ফেরৎ দিয়েছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আতিকুল হক অভিযুক্ত ৩ পুলিশ সদস্য ও ১০ জন স্বাক্ষীকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করার জন্য নোটিশ জারীর সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি তদন্তাধীন ব্যাপার। আমরা তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলব।”

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে নারী মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
  • হবিগঞ্জে এসআইসহ ৩ জনের নামে বিভাগীয় মামলা
  • রেস্ট হাউজের পেছনে পড়ে ছিল শ্রমিকের মুখ থেঁতলানো লাশ
  • বাংলামোটরে মোটরসাইকেলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, কলেজশিক্ষার্থী নিহত
  • কাপাসিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা
  • রামপুরার খাল থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
  • গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় আহত পুলিশ ও আনসার সদস্য