দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে দাগই ভালো!

এমন মনোভাব থেকেই আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচে মাঠের পাশে একটি গাড়ি রেখে দেয় টুর্নামেন্টের অন্যতম এক স্পনসর প্রতিষ্ঠান। ‘ছক্কা হয়ে উড়ে আসা বলের আঘাতে ভেঙে যাক গাড়ির কাচ’—মনেপ্রাণে এই চাওয়াই ছিল তাদের, সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে। গতকাল এক ছক্কায় ভেঙেছে গাড়ির কাচ। লক্ষ্ণৌর একানায় সেই ‘দুর্ঘটনা’য় নিশ্চিত হয়েছে, স্পনসর প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ৫ লাখ টাকা। ভারতের অনগ্রসর কোনো গ্রামে ৫ লাখ রুপির ক্রিকেট সরঞ্জাম দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

পরশু অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ৫ লাখ রুপি দামের সেই ছক্কা মেরেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ওপেনার অভিষেক শর্মা। হায়দরাবাদ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের করা একটু শর্ট লেংথের বলটিকে পুল করে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে সীমানাছাড়া করেন ভারতীয় ওপেনার। বলটি আছড়ে পড়ে গ্যালারির ঠিক পাশেই সাজানো মঞ্চে রাখা গাড়িটির উইন্ডশিল্ডে, মুহূর্তেই চুরমার সেটি।

আর তাতেই ৬ রান থেকে ৫ লাখ রুপি হয়ে যায় ছক্কাটির মূল্য। এত টাকার ক্রিকেট সরঞ্জাম কারা পাবে, সেটি পরে ঠিক করা হবে।

আরও পড়ুনভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল, কারা আছেন, কারা নেই৬ ঘণ্টা আগে

ভারতীয় ক্রিকেটে গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত বছর মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অস্ট্রেলীয় তারকা এলিস পেরি ভেঙেছিলেন স্পনসর প্রতিষ্ঠানের গাড়ির কাচ।

পেরি আর অভিষেক ছক্কা মেরে গাড়ির কাচ ভেঙে নিজেরা জরিমানা দেননি। তবে আসিফ আলী ও কেভিন ও’ব্রায়েনকে ছক্কা মেরে কাচ ভেঙে আক্কেলসেলামি দিতে হয়েছিল। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় ক্রিকেটে ছক্কা মেরে আসিফ ও ও’ব্রায়েন ভেঙে ফেলেছিলেন মাঠের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা নিজেদের গাড়ির কাচই!

স্পোর্টস কুইজ: টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কোন দলের ব্যাটসম্যানদের.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে সেতু ভেঙে নিহত ৯

ফের সেতু ভেঙে পড়ল ভারতে। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে গুজরাটের বডোদরায় মহীসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। সেই সময় সেতুর উপরে থাকা অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মধ্য গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্রের মাঝামাঝি পাডরা-মুজপুর এলাকায় মহীসাগর নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘‘ওই সময় দুটি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং একটি গাড়ি সেতু দিয়ে যাচ্ছিল। সেতুর একটি অংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। ওই অংশে থাকা গাড়িগুলোও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে।”

আরো পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে কলকাতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

রাতের অন্ধকারে ভারতে আওয়ামী লীগ নেতা, সীমান্ত পেরিয়েই গ্রেপ্তার

খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। এখনও পর্যন্ত চার জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৯ জনের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বডোদরার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রোহন আনন্দ। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০২২ সালে এই রাজ্যেরই মোরবীতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে সংস্কারের জন্য প্রায় দুই দশক ধরে বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া ওই সেতু। পুনর্নির্মাণের পর ২০২২ সালের অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঝুলন্ত সেতুটি। খুলে দেওয়ার চার দিনের মধ্যে সেতুটি ভেঙে পড়ে। ওই দিন মাচ্ছু নদীর উপরের ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। শুধুমাত্র ভেঙে পড়ার দিনেই নাকি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজারেরও বেশি! দুর্ঘটনার সময়েও সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন। তার মধ্যে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরো অনেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে ঘাটতি ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে নির্মাণকারী সংস্থা এবং রাজ্য সরকারের দিকেও।

বুধবারের সেতু বিপর্যয় ফেরাচ্ছে তিন বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতি।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ