দেড় হাজার কােটি টাকা ব্যয় হবে ১৫ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে
Published: 24th, May 2025 GMT
১৫টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে আটটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই দুই প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৮৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকা সম্ভাব্য ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। মোট ব্যয়ের মধ্যে ৮ হাজার ৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকা অর্থায়ন করবে সরকার। প্ৰকল্প ঋণ থেকে আসবে ২ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হবে ৮১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত পরিকল্পনা উপদেষ্টা একনেক সভার অনুমোদিত প্রকল্প নিয়ে ব্রিফ করেন। তবে গতকাল একনেক পরবর্তী ব্রিফিং হয়নি। বৈঠক শেষে যাওয়ার পথে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ আলোচনা’ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের ১৯৫১ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে স্থাপিত ১৩টি এবং ২০০৬ ও ২০০৮ সালে স্থাপিত দুটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ বিনিয়োগ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি ১০তলাবিশিষ্ট একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি পাঁচতলাবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম লাইব্রেরি ভবন, দুটি কম্পিউটার ও ওয়ার্কশপ ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, একটি অডিটোরিয়াম মেরামত ও আধুনিকায়ন এবং পাঁচটি পুরোনো ভবন অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ১২টি পাঁচতলাবিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল ভবন, একটি পাঁচতলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস, একটি ১০তলাবিশিষ্ট শিক্ষক কোয়ার্টার, একটি ১০তলাবিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টার, চারটি ১০তলাবিশিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী কোয়ার্টার, আটটি পাঁচতলাবিশিষ্ট শিক্ষক ডরমিটরি, সাতটি পাঁচতলাবিশিষ্ট স্টাফ ডরমিটরি নির্মাণের পাশাপাশি আরও কিছু ব্যয় হবে।
আটটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবন নির্মাণে আরেকটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ৪৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
একনেক অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৫৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকার ‘আরবান ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প রয়েছে। এ ছাড়া ৭২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ‘পিআরিএবিআরআইডিডিএইচআই: স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প’ অনুমোদন করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও একটি অনুমোদিত প্রকল্প হচ্ছে ১৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় কমিয়ে ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ৪ হাজার ৬৪৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (অষ্টম পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ৯১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই): রিইনট্রিগ্রেশন অ্যাকট অব রিটার্নিং মাইগ্র্যান্টস (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প অনুমোদন পায়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৩৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার ‘গ্রিড পাওয়ার ইভাকুয়েশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ফর ওজোপাডিকো’ এবং ৪ হাজার ১৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকার ‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউঅ্যাবল এনার্জি’। এ ছাড়া ‘ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: একন ক চতল ব শ ষ ট প রকল প র অন ম দ ত উপদ ষ ট সরক র একন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার: কাজল
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৩ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও পরিবার ও সন্তানদের প্রতিও মনোযোগী কাজল।
কয়েক দিন আগে মারাঠি ভাষার ‘উত্তর’ সিনেমার ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে মা তনুজাকে নিয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ডিজিটাল যুগে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের গল্প এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক করা কেন জরুরি তা-ও এই অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন কাজল।
আরো পড়ুন:
জয়া চান না তার নাতনি বিয়ে করুক
দীপিকার বোনের বিয়ের ঘটক রণবীর!
সন্তানদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চাইলে কাজল বলেন, “ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে এখানে নেই; থাকলে সে এই প্রশ্নের উত্তরেও আমার সঙ্গে তর্ক করত। এটা ষোলআনা সত্যি। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার। যদি আমরা ঝগড়া করি, তার মানে আমরা এমন একটি মন গড়েছি, যা আমাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারে এবং নিজের মতামত রাখতে পারে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখিয়েছি। তারা যখন আমার সঙ্গে তর্ক করে, আমি তখন তার প্রশংসা করি।”
প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজাও এই আলোচনায় যোগ দেন। বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, “কাজল ছোটবেলায় আমার সঙ্গে অনেক তর্ক করত।” এ কথা শুনেই হাসতে হাসতে কাজল বলেন, “মা, আমি তো কখনো তোমার সঙ্গে তর্ক করিনি।” পাল্টা জবাবে তনুজা বলেন, “তুমি সব সময়ই তর্ক করেছ।”
১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক এটিও নাকি তখন কেউ কেউ চাননি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের।
গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ
ঢাকা/শান্ত