হ্যান্ডকাপসহ আ’লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল জনতা
Published: 25th, May 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনতা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু চরকাদিরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজু মামলার আসামি। কমলনগর থানার এএসআই প্রদীপ চন্দ্র দাস ও কনস্টেবল আরজু তাকে গ্রেপ্তার করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজুকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেন। এ খবর পেয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান এবং জনতাকে শান্ত করেন।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, রাজুকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ বাধার মুখে পড়ে। যারা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী