লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনতা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু চরকাদিরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজু মামলার আসামি। কমলনগর থানার এএসআই প্রদীপ চন্দ্র দাস ও কনস্টেবল আরজু  তাকে গ্রেপ্তার করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজুকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেন। এ খবর পেয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান এবং জনতাকে শান্ত করেন।

এ বিষয়ে ওসি বলেন, রাজুকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ বাধার মুখে পড়ে। যারা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে বাড়ল মাছ ও সবজির দাম

দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এর প্রভাব পড়েছে সবজি ও মাছের বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টির স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাজারে ক্রেতার আনাগোনাও কমেছে। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও, তেজকুনিপাড়া ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। এ জন্য সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে বাজারে মাছের সরবরাহও কমেছে। তবে বৃষ্টি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। দু’দিন আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ধুন্দল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মানুষ বাজারে আসতে পারছে না। তাছাড়া পাইকারি বাজারে সবজির দামও বাড়তি।
সবজির সরবরাহ কম থাকায় এর প্রভাব পড়েছে মাছ ও মুরগির বাজারে। বাজারে মাঝারি আকারের প্রতি কেজি রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। তিন-চার দিন আগে এই দরের চেয়ে অন্তত কেজিতে ২০ টাকা কমে কেনা গেছে এসব মাছ। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে। 

সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকা। তিন-চার দিন আগে এই দর ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। আগের মতোই প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ডিমের দামও অপরিবর্তিত। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

তেজকুনিপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্ষার সময় সাধারণত মাছের সরবরাহ কম থাকে। এ সময় মাছ কম ধরা পড়ে। সেজন্য দামও কিছুটা বাড়তি থাকে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ