সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রবিবার (২৫ মে) সকাল থেকেই সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জমায়েত হতে থাকেন কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত হন।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো.

নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম। ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নতুন ভবন ও ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে ১১ নম্বর ভবনের সামনে যায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে সচিবালয়ের বিভিন্ন চত্বর প্রদক্ষিণ করেন আন্দোলনকারীরা।

মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’, ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কর্তব্যে অবহেলা, ছুটির অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা কিংবা কর্মবিরতিতে উস্কানি দেওয়ার মতো অভিযোগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরিচ্যুত করা যাবে।

এর খসড়া গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য চার জন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “এ অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” দাবি মানা না হলে সচিবালয় অচল করে দেওয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের, বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ