জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
Published: 25th, May 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত ও সুনির্দিষ্টভাবে চালুর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালেও অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওই সময় বক্তব্য দেন মো.
বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হলেও এখন পর্যন্ত তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। বর্তমান শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন এই দাবিতে আন্দোলন করে এলেও কেবল আশ্বাস ছাড়া কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। এতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। নতুন ব্যাচ চালু না থাকলে বর্তমান ব্যাচগুলোর শিক্ষার্থীরা পরিচয়হীনতায় ভুগবেন এবং সনদের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা আছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামে ৩০০ শিক্ষার্থী আছে। এই শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি আছে। বর্তমান প্রশাসন এটাকে আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে ধাপে ধাপে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইউজিসি আইনি ব্যাখ্যার জন্য বিষয়টি পাঠিয়েছে। ব্যাখ্যা পেলে কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিলে দাবিগুলো পূরণ সম্ভব হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটার একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেটা শেষ হলেই এর সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছি। তারা অনশন করেছে শুনেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে কথা বললে আশা করি বিষয়টি তারা বুঝতে পারবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ক য ম প স অন র স প র গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘মব সন্ত্রাস’ নিয়ে বিবৃতি ঢাবির ৭১ শিক্ষকের
‘গত কয়েক মাসে সারাদেশে মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে’ দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক। গতকাল বুধবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক’ নামে বিবৃতিটি পাঠানো হয়। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের সঙ্গে যুক্ত।
এটি সমন্বয় করেন নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার, নীল দলের সদস্য ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক বাহাউদ্দীন, সাবেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল মুহিত, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান প্রমুখ।
এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার সমকালকে বলেন, ‘প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নামে আমাদের একটি গ্রুপ আছে। কিছুদিন আগে শিক্ষকরা যখন বিপদে পড়েন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি। আমরা গ্রুপে নানা বিষয়ে আলোচনা করি। যাদের নাম উল্লেখ আছে, তাদের প্রত্যেকের সম্মতি নিয়ে বিবৃতিটি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, তারা নীল দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেননি। সাধারণ শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এটি দিয়েছেন।
এদিকে বিবৃতিতে নাম থাকা নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার সমকালকে বলেন, ‘দলের তো (নীল দল) এখন অস্তিত্ব নেই। তবুও কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আমি সম্মতি দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের তো দায় রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাসের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এতে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এসব ঘটনায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।