জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত ও সুনির্দিষ্টভাবে চালুর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এর আগে গতকাল শনিবার সকালেও অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওই সময় বক্তব্য দেন মো.

সোলায়মান হোসেন, অফিউল ইসলাম, ফাহিম ফয়সল ও হৃদয় হোসেন নামে চার শিক্ষার্থী।

বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হলেও এখন পর্যন্ত তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। বর্তমান শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন এই দাবিতে আন্দোলন করে এলেও কেবল আশ্বাস ছাড়া কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। এতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। নতুন ব্যাচ চালু না থাকলে বর্তমান ব্যাচগুলোর শিক্ষার্থীরা পরিচয়হীনতায় ভুগবেন এবং সনদের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা আছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামে ৩০০ শিক্ষার্থী আছে। এই শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি আছে। বর্তমান প্রশাসন এটাকে আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে ধাপে ধাপে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইউজিসি আইনি ব্যাখ্যার জন্য বিষয়টি পাঠিয়েছে। ব্যাখ্যা পেলে কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিলে দাবিগুলো পূরণ সম্ভব হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটার একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেটা শেষ হলেই এর সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছি। তারা অনশন করেছে শুনেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে কথা বললে আশা করি বিষয়টি তারা বুঝতে পারবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ক য ম প স অন র স প র গ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর দাবিতে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠন ও দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়া, সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার, এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি অনশনকারী ৩ জনের মধ্যে ২ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনশনকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে অনশনকারী ২ জনকে হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আলোচনা করে অনশনকারীদের এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে আমরা ডাকসু নিয়ে কাজ করছি।আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা কার্যক্রম চালু রেখেছি। কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে সাম্য হত্যার ঘটনায় আর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার আমাদের মিটিং রয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে মিটিংয়ে ডাকসু ও অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল চান শিক্ষার্থীরা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

তিনি আরো বলেন, “তারা এখনো অনশন ভাঙেনি। একজন গ্ৰায় ৫১ ঘণ্টা ধরে, অন্যজন প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন করার কারণে শারীরিকভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পরে। তাই চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেশনজট নিরসনের দাবিতে চবির শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
  • ডাকসুর দাবিতে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে
  • টিকটকে পরিচয়ের পর আপত্তিকর ছবি লেনদেন, বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর অনশন
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত
  • রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার
  • আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা