বাংলাদেশ সচিবালয় ও আশেপাশে এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, ১০ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। 

প্রসঙ্গত, ১০ মে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যমুনার আশপাশে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড এলাকায় সভা-সমাবেশ করা যাবে না।

এর আগে ২৬ আগস্ট সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএমপি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকার কথা জানিয়েছিল ডিএমপি।

উল্লেখ্য, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে কয়ে দিন ধরে  সচিবালয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করে আসছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। মঙ্গলবারও বিক্ষোভ-মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো.

বাদিউল কবীর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদনের পর গতকাল অধ্যাদেশ জারি করা হয়। কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণজম য় ত ড এমপ গণজম য় ত র সরক র উপদ ষ ট এল ক য় ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি ফেরত পেলেন নোবিপ্রবিতে ৭ শিক্ষক-কর্মকর্তা 

তুচ্ছ কারণে চাকরিচ্যুত দুই শিক্ষক ও পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন।

সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রশিদুল ইসলাম ও শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. মোকাররম হোসেন।

আরো পড়ুন:

বরখাস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যবিপ্রবিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন, সেকশন অফিসার (অস্থায়ী) ইব্রাহীম খলিল, এফটিএনএস বিভাগের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাহিন হোসেন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মান্নান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা ও রাজনৈতিক বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অনেক সময় তুচ্ছ কারণ বা যথাযথ তদন্ত ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করেন তারা। 

চাকরি ফিরে পাওয়া কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, “লঘু কারণ দেখিয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়। আমি তখন যেসব দায়িত্বে ছিলাম, সততার সঙ্গে পালন করেছি। লোকবল কম থাকায় কিছু কাজ করতে সময় লাগত, কিন্তু তা সংখ্যায় খুবই কম। এজন্য আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে আমি আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করি। বর্তমান প্রশাসন আমার চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া সময়কে লঘুদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় রেখেছেন।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “পূর্ববর্তী সময়ে তারা যোগ্যতা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তাদের চাকরিতেও যুক্ত করানো হয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া তাদের নিয়োগ স্থগিত এবং বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটি ও রিভিউ কমিটির সুপারিশ এবং যথাযথ আইন মেনে রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগ স্থগিতকরণের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “একজন প্রভাষকের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। তার চাকরি ফিরিয়ে দিলেও তিনি প্রভাষক পদে জয়েন করেননি। সহকারী অধ্যাপক পদে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পান। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতপক্ষে যোগ্য ছিলেন।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল
  • উপকূলে ঝড়ের আশঙ্কা, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
  • অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
  • সিদ্ধিরগঞ্জে হোসিয়ারী শ্রমিক ফারুক হত্যায় গ্রেপ্তার ৫  
  • সাগরের লঘুচাপটি নিম্নচাপ হতে পারে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কতটুকু
  • সচিবালয় ও যমুনা এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে
  • সচিবালয় ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • চাকরি ফেরত পেলেন নোবিপ্রবিতে ৭ শিক্ষক-কর্মকর্তা