অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
Published: 27th, May 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়াসহ চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ ও আব্দুল্লাহ নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
নাম পরিবর্তনের দাবিতে বেরোবির জিডিএস বিভাগে তালা
ছাত্রী হেনস্থার প্রতিবাদ করায় ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে মারধর
তাদের চার দফা দাবি হলো- ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধু পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী ছাড়া সব কোটা বাতিল; জুলাই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ; সেশনজট নিরসনে অনুষদ ভিত্তিক একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। তবে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ করাটা সবসময় সম্ভব হয় না। তারপরও আমরা এসব বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।”
গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনবিরোধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প উপ চ র য ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা আটক
গত বছর জুলাইয়ে চলাকালীন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি হামলার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা হলেন, নোবিপ্রবির আইন বিভাগের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা মামুনকে তার কর্মস্থল থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৪টি কাউন্সিল গঠন করা হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য
মামুন জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে এবং আত্মগোপনে থাকা বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ছিলেন।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। বুধবার ওই ঘটনার ছবি-ভিডিও প্রকাশ হলে তাকে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় ।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আভিযোগ তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে নোবিপ্রবি থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মেহেদী