একক গানে কিংবা অভিনয়ে মনোযোগ দিয়েছেন ব্ল্যাকপিঙ্ক তারকা জিসু, জেনি, রোজে ও লিসা। ব্যান্ডটির চার প্রাণভোমরাকে মধ্যে একসঙ্গে পাওয়া যায়নি।

ব্ল্যাকপিঙ্কের ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছে ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযোজক ইয়ং হিউন–সুক জানান, এ বছরের শেষভাগে নতুন একটি গানে পাওয়া যাবে চারজনকে।

আরও পড়ুনওয়ার্ল্ড ট্যুরের ঘোষণা ব্ল্যাকপিঙ্কের ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আমরা ব্ল্যাকপিঙ্কের নতুন গানের খবর জানাতে পারব।’ তবে গানটি কবে আসবে, তা বিস্তারিত জানাননি।

এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ‘বর্ন পিঙ্ক’ অ্যালবামে শোনা গেছে জিসু, জেনি, রোজে ও লিসাকে। এর মধ্যে একটি ভিডিও গেমের গানও করেছেন তাঁরা।

এর মধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ‘ডেডলাইন’ শুরু করছে ব্ল্যাকপিঙ্ক। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াং শহরে ৫ জুলাই থেকে কনসার্টটি শুরু হবে। এর আগে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘বর্ন পিঙ্ক’ ট্যুরে বিশ্ব ঘুরেছেন লিসা, জেনিরা। এই ট্যুরে বিশ্বের ৩৪ শহরের ১৮ লাখ শ্রোতাদের সামনে গান শুনিয়েছে গানের দলটি।

২০১৬ সালের ৮ আগস্ট যাত্রা করে চার সদস্যের ব্ল্যাকপিঙ্ক। জিসু, জেনি, রোজ আর লিসার কণ্ঠ আর আকর্ষণীয় পরিবেশনায় দর্শকেরা বুঁদ হয়ে আছেন। ব্ল্যাকপিঙ্কের ভক্তদের বলা হয় ‘ব্লিঙ্ক’।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শালবনে আবারও ফিরবে ময়ূর

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একেবারে সীমান্তঘেঁষা গ্রাম দর্জিপাড়া। মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া। ছোট্ট এই গ্রামটিতে প্রায়ই বুনো ময়ূরের দেখা মেলে। বাংলাদেশে ময়ূর বিলুপ্ত হলেও কয়েক বছর ধরে পাখিটির আনাগোনা দেখছেন দর্জিপাড়ার বাসিন্দারা।

এই ময়ূরগুলো গ্রামটির স্থায়ী বাসিন্দা নয়। খুব সম্ভবত এরা আমাদের সীমানার ভেতরে প্রজনন করে না। ওপারেই ভারতের সীমানায় একটি ছোট বন রয়েছে। ময়ূরগুলো খাবারের আশায় সেখান থেকে নিয়মিত দর্জিপাড়া আসে। খাওয়া শেষে আবার নিজ ঠিকানায় ফিরে যায়। স্থানীয় লোকজন সেগুলোকে বিরক্ত করেন না।

ময়ূরগুলো মূলত দেখা যায় গ্রীষ্মকালে। গত ১১ এপ্রিল দর্জিপাড়ায় এমন একটি ময়ূর আলোকচিত্রী রেজাউল হাফিজের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ৯ মে তেঁতুলিয়া সীমান্ত থেকে ময়ূরের ছবি তোলেন আলোকচিত্রী হাসান মাহমুদ। আরেক আলোকচিত্রী বন্ধু ফিরোজ আল সাবাও নিয়মিত দর্জিপাড়া গ্রামে ময়ূর দেখার কথা জানিয়েছেন। ২০২২ সালে দর্জিপাড়ায় চারটি ময়ূরের একটি দলের সন্ধান পান তিনি। এর মধ্যে দুটি ছিল পুরুষ। ২০২৩ সালে এবং সর্বশেষ এ বছরও ময়ূর চোখে পড়েছে তাঁর।

সুখবর হলো ময়ূর বনে ফেরানোর প্রচেষ্টা গতকাল রোববারই শুরু হয়েছে। মধুপুর শালবনের দোখলা রেঞ্জের লহরিয়া বিটে ছাড়া হয়েছে পাঁচ জোড়া ময়ূর। প্রথমে এই ময়ূরগুলোকে বুনো পরিবেশে অভ্যস্ত করে তোলা হবে। এরপর সেগুলো বনে ফিরে যাবে।

দর্জিপাড়ায় চার থেকে পাঁচটি ময়ূরের একটি দল আছে বলে ধারণা করা হয়। সেখানে বন অধিদপ্তর ইউক্যালিপটাসের সামাজিক বনায়ন করেছে। কয়েক বছর আগে সেখান থেকে একটি ময়ূর উদ্ধার করা হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার এই গ্রাম ছাড়াও ২০১৬ সালে দেবীগঞ্জের মারেয়া গ্রাম থেকে একটি এবং ২০২২ সালে বোদার চকলাহাট থেকে একটি ময়ূর উদ্ধার করা হয়েছিল।

সম্প্রতি দেশে ময়ূর দেখার তথ্য এতটুকুই। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন থেকে ২০১৫ সালে আমরা যে তালিকা প্রকাশ করেছিলাম, তাতে বাংলাদেশে ময়ূর একটি বিলুপ্ত প্রাণী। এর অর্থ বন্য পরিবেশে ময়ূর আর টিকে নেই। সর্বশেষ বাংলাদেশে বুনো ময়ূরের সন্ধান মিলেছিল ১৯৮৩ সালে—মির্জাপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের রাথুরা এলাকায়।

বাংলাদেশে দুই প্রজাতির ময়ূর ছিল। একটি হলো ভারতীয় ময়ূর। অন্যটি সবুজ ময়ূর। এর কোনোটিই দেশের বন্য পরিবেশে আর টিকে নেই। বিলুপ্তির আগে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যেত ভারতীয় ময়ূর। এই প্রজাতিটিই ভারতের জাতীয় পাখি। আর বিলুপ্ত হওয়া সবুজ ময়ূর আমাদের দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় দেখা যেত। এই প্রজাতিটি এখন বিশ্বব্যাপী বিপন্ন।

গাজীপুরের মধুপুর শালবনের দোখলা রেঞ্জের লহরিয়া বিটে গতকাল ছাড়া হয় পাঁচ জোড়া ময়ূর। প্রথমে এই ময়ূরগুলোকে বুনো পরিবেশে অভ্যস্ত করে তোলা হবে। এরপর সেগুলো বনে ফিরে যাবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
  • ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
  • এমএফএসের মাধ্যমে ২০২২ সালে ৭৫,০০০ কোটি টাকা পাচার: টিআইবি
  • সৈয়দপুরে মরুর প্রাণী দুম্বার খামার, কোরবানি ঘিরে চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশা
  • তালিকায় কৃষকের নাম নেই যন্ত্রেরও খোঁজ নেই
  • সরকারি চিকিৎসা সহায়তার অর্থ মিলছে রোগীর মৃত্যুর পর
  • মারধর ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে পরীমণি
  • ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা   
  • শালবনে আবারও ফিরবে ময়ূর