চার সদস্যকে নিয়ে ফিরছে ব্ল্যাকপিঙ্ক
Published: 27th, May 2025 GMT
একক গানে কিংবা অভিনয়ে মনোযোগ দিয়েছেন ব্ল্যাকপিঙ্ক তারকা জিসু, জেনি, রোজে ও লিসা। ব্যান্ডটির চার প্রাণভোমরাকে মধ্যে একসঙ্গে পাওয়া যায়নি।
ব্ল্যাকপিঙ্কের ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছে ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযোজক ইয়ং হিউন–সুক জানান, এ বছরের শেষভাগে নতুন একটি গানে পাওয়া যাবে চারজনকে।
আরও পড়ুনওয়ার্ল্ড ট্যুরের ঘোষণা ব্ল্যাকপিঙ্কের ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আমরা ব্ল্যাকপিঙ্কের নতুন গানের খবর জানাতে পারব।’ তবে গানটি কবে আসবে, তা বিস্তারিত জানাননি।
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ‘বর্ন পিঙ্ক’ অ্যালবামে শোনা গেছে জিসু, জেনি, রোজে ও লিসাকে। এর মধ্যে একটি ভিডিও গেমের গানও করেছেন তাঁরা।
এর মধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ‘ডেডলাইন’ শুরু করছে ব্ল্যাকপিঙ্ক। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াং শহরে ৫ জুলাই থেকে কনসার্টটি শুরু হবে। এর আগে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘বর্ন পিঙ্ক’ ট্যুরে বিশ্ব ঘুরেছেন লিসা, জেনিরা। এই ট্যুরে বিশ্বের ৩৪ শহরের ১৮ লাখ শ্রোতাদের সামনে গান শুনিয়েছে গানের দলটি।
২০১৬ সালের ৮ আগস্ট যাত্রা করে চার সদস্যের ব্ল্যাকপিঙ্ক। জিসু, জেনি, রোজ আর লিসার কণ্ঠ আর আকর্ষণীয় পরিবেশনায় দর্শকেরা বুঁদ হয়ে আছেন। ব্ল্যাকপিঙ্কের ভক্তদের বলা হয় ‘ব্লিঙ্ক’।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক