লিভারপুলের শিরোপা–উৎসবে গাড়িচাপায় আহত ৪৭: পুলিশ বলছে ‘সন্ত্রাসবাদ নয়, বিচ্ছিন্ন ঘটনা’
Published: 27th, May 2025 GMT
২০২৫–এর আগে ২০২০ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু পাঁচ বছর আগের করোনাকালীন পৃথিবীতে শিরোপা–উৎসব করা হয়নি তাদের।
সেইবার ছাদখোলা বাসে ‘ভিক্ট্রি প্যারেড’ করতে না পারলেও এবার যেন তা সুদে–আসলে মেটাতে চেয়েছিল লিভারপুল।
কাল পুরো শহর সেজেছিল অলরেডদের লাল রংয়ে। উৎসবের অংশ হতে সব বয়সী মানুষ নেমে এসেছিলেন রাজপথে। কিন্তু লিভারপুলের লাল রংয়ের সঙ্গে রক্তও ঝরেছে। বলতে গেলে শিরোপা–উৎসবটাই পণ্ড হয়ে গেছে। বেপরোয়া একটি গাড়ি যে লিভারপুল সমর্থকদের ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে, কারও কারও গায়ের ওপরও তুলে দিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় চার শিশুসহ অন্তত ৪৭ জন আহত হয়েছেন। এএফপি জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ২৭ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় ৫৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মার্সেসাইড পুলিশের সহকারী প্রধান কনস্টেবল জেনি সিমস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ঘটনাটিকে আমরা সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করছি না। আমরা মনে করি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কাউকে খুঁজছি না।’
প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি হাতে সালাহ, ফন ডাইক, আলিসনদের এক নজর দেখতে কাল মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার লিভারপুল সমর্থক রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন। আর্নে স্লটের দলকে বহন করা ছাদখোলা বাস শহরের ওয়াটার স্ট্রিটের পাশ দিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে কালো রঙের একটি গাড়ি সমর্থকদের সজোরে ধাক্কা দিতে দিতে দ্রুত বেগে চলতে থাকে।
হ্যারি রশিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে শিরোপা–উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি কার ভিড়ের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুত গতিতে চলে যায়, ‘প্রথমে আমরা শুধু শব্দ শুনতে পেলাম যেন লোকজন গাড়ির বনেট থেকে ছিটকে পড়ছে। যখন গাড়িটি মানুষদের পিষে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আওয়াজটা আরও স্পষ্টভাবে কানে এল। সব মিলিয়ে অবস্থা ভয়াবহ ছিল।’
সন্দেহভাজনকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করতে পারায় এবং পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ায় পুলিশ ও জরুরি সেবাকর্মীদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, ‘ভয়াবহ ঘটনার শিকার আহতদের তাঁরা নিরলসভাবে সহায়তা ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পুরো দেশ লিভারপুলের পাশে আছে।’
সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে লিভারপুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, ‘গুরুতর এই ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।