স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, যেকোনো দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম যুবশক্তি। আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ যুবশক্তিই পারে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ ও তারুণ্যেরই বিজয়। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‌‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

হাসান মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। 

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু ও কিশোরদের এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগসের আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। নতুন নতুন এসব মাদক নিয়ে আমাদের নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হয়, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র ব যবহ র উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৭৩

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ১ হাজার ৬৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত চালানো গত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে এহাজারভুক্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি ১১৩৫ ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৩৮ জন। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বন্দুক, তিনটি ওয়ান শুটারগান, ১৪টি ধারালো অস্ত্র, দুটি গুলি ও চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত) সারা দেশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১ হাজার ৮৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ