রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন কমিশনের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন। আবুল কালাম আজাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপি ছিলেন। এর আগে তিনি তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন– রাজশাহীর পবা থানার সমসাদীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঠিকাদার খালেদ মোহাম্মদ সেলিম, তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের ও তাহেরপুর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল হক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য তাহেরপুর পৌর এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর সংরক্ষণ ও শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলেছে। কিন্তু আসামিরা কাজ যথাযথভাবে না করে, প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে দেখিয়ে ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা পাঁচ মামলায় গত ৩ অক্টোবর সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর পর থেকে আদালতের আদেশে তিনি কারাগারে আছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।

অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’

বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি