স্ত্রীকে নগ্ন হওয়ার নির্দেশ কি কানইয়ের অ্যালবামের প্রচার?
Published: 4th, February 2025 GMT
স্ত্রী মডেল বিয়াঙ্কা সেন্সরিকে নিয়ে এবাররে গ্র্যামির লাল গালিচায় হাজির হন মার্কিন র্যাপার কানইয়ে ওয়েস্ট। রোববার রাতে এই তারকা দম্পতির যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তাতে রীতিমতো অবক হওয়ারই মত। কারণ, পরনে ত্বকের রঙের ছোট পোশাক থাকলেও ক্যামেরায় বিয়াঙ্কার শরীর পুরোপুরি উন্মুক্ত বোঝা যাচ্ছিল। এমন বিতর্কিত কাণ্ড ঘটানোর জন্য নাকি স্ত্রী বিয়াঙ্কাকে নির্দেশ দেন কানইয়ে।
সিবিএস মর্নিং থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিওযতে দেখা যায়, ক্যামেরার সামনে একটি কালো রঙের বিশাল বড় জ্যাকেট পরে আসেন বিয়াঙ্কা সেন্সরি। পাশে ছিলেন স্বামী কানইয়ে। ক্যামেরার সামনে দুজনকে কোনও গোপন আলোচনা করতে দেখা যায়। স্বামীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই বিয়াঙ্কা পিছনে মুখ ফিরে দাঁড়ান এবং গায়ে থাকা কোট নামিয়ে দেন। কালো পোশাকটি সরে যেতেই বোঝা যায় একেবারে নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিয়াঙ্কা।
কনইয়ে তার স্ত্রীকে কী নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বোঝা না গেলেও অনুমান করা হচ্ছে তিনি বলেছিলেন, এমন একটি দৃশ্য তৈরি করার জন্য যাতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। স্বামীর কাছ থেকে গায়ের কোট ফেলে দেওয়ার নির্দেশ পেয়ে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে পড়েন বিয়াঙ্কা। এ ঘটনার পর এই দম্পতিকে আর অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। শোনা যাচ্ছে, সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কানইয়ে ও বিয়াঙ্কাকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ক্যামেরার সামনে নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে পড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হল ইয়ের ‘ভুল্টুন ওয়ান’ অ্যালবামের প্রচার। অ্যালবামের কভারেও বিয়াঙ্কাকে এমন একটি পোশাকে দেখা যায়।
কেউ কেউ সেন্সরির মানসিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন, কেউ কেউ আবার বিয়াঙ্কাকে এই অসুস্থ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। সূত্র: হিন্দুন্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়
সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়।
রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।
জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।
বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।