পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতির নির্দেশ কিমের
Published: 28th, February 2025 GMT
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পারমাণবিক হামলা চালানোর পূর্ণ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ধরনের প্রস্তুতি দেশটির প্রতিরক্ষাকে কার্যকরভাবে নিশ্চিত করবে। শুক্রবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই খবর জানিয়েছে।
‘শত্রুদের’ সতর্কবার্তা দিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেসিএনএর প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এসব শত্রু উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার পরিবেশ গুরুতরভাবে বিঘ্নিত করছে। তারা সংঘাতের পরিবেশকে লালন করছে এবং উসকে দিচ্ছে।
কিমকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শক্তিশালী হামলার সক্ষমতার দ্বারা যা নিশ্চিত করা হয়, তাই সবচেয়ে নিখুঁত প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা।’
কিম বলেন, ‘এটা [শত্রুর ওপর হামলার প্রস্তুতি] একটি দায়বদ্ধ কাজ। নির্ভরযোগ্য পারমাণবিক ঢাল দিয়ে জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে) পারমাণবিক সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব।
কেসিএনএর তথ্যমতে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে গত বুধবার। কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত একটি ভবনে আঘাতের দৃশ্য। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’