কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়াল ব্রয়লার মুরগির দাম
Published: 27th, March 2025 GMT
এক সপ্তাহ ব্যবধানে চট্টগ্রামের বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহ আগে বাজারে ১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এক সপ্তাহে দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কয়েকটি বাজারে দাম যাওয়া হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। ক্রেতাদের ভাষ্য, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আবার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বাজারে। ফলে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। অধিকাংশ দোকানে দাম ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে। তবে গুটিকয় দোকানি দাম বেশি নিচ্ছেন।
নগরের আসকারদীঘি, বহদ্দারহাট ও চকবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও বলছে, সদর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির গড় দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। তবে নগরের কয়েকটি বাজারে দাম ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার রাতে নগরের চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট থেকে ব্রয়লার কিনেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হক শাহ ও ইমরান হোসেন। তাঁরা জানান, গত সপ্তাহে ১৮৫ টাকা দরে কিনলেও এখন দাম চাওয়া হচ্ছে ২৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে বেশি দামের অজুহাতে দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতা।
কর্ণফুলী মার্কেটের মুরগি বিক্রেতা আবু সৈয়দ বলেন, ‘আমরা ২১০ টাকা দরে মুরগি কিনতে হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করে ২৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বড় পোলট্রি খামারগুলো বাজারে মুরগি সরবরাহ দিচ্ছে না। তাই দাম বেড়েছে।’
তবে নগরে রিয়াজউদ্দিন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি দোকানগুলোতে ১৯০ টাকা দরে মাঝারি আকারের ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে। ছোট আকারে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। চকবাজারেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।
চকবাজারের সেলিম পোলট্রি শপের ব্যবস্থাপক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, সরবরাহ কম, সেটি সত্য। তবে দাম ৫-১০ টাকার বেশি বাড়েনি। বাজারে ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বর্তমানে ঈদ ঘিরে বাস কাউন্টারগুলোতে অভিযান চলছে। ফলে বাজারে আপাতত নিয়মতি অভিযান নেই। তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২১০ ট ক ২০০ ট ক ম রগ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।