যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব করা হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খসড়া এক নির্বাহী আদেশে। এতে আফ্রিকায় দেশটির প্রায় সব কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া এবং এই মহাদেশে থাকা দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়া নির্বাহী আদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে কাজ করা দপ্তরগুলোর পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দপ্তরগুলোও বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে এই নির্বাহী আদেশে সই করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ১৬ পৃষ্ঠার খসড়া আদেশটির একটি অনুলিপি নিউইয়র্ক টাইমসের হাতে এসেছে। এই অনুলিপি অনুযায়ী, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুশৃঙ্খল পুনর্গঠন নিশ্চিত করা এবং অপচয়, জালিয়াতি ও অপব্যবহার কমিয়ে এর কাজের প্রক্রিয়া সহজতর ও গতিশীল করা নির্বাহী আদেশটির লক্ষ্য।’ আগামী ১ অক্টোবর নাগাদ পররাষ্ট্র দপ্তর এই পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন কয়েকজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাহী আদেশটি সইয়ের পাশাপাশি পররাষ্ট্র কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত পেশাদার কূটনীতিক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদেরও ছাঁটাইয়ের চেষ্টা করা হবে। এসব কর্মকর্তা সাধারণত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন সদর দপ্তরে কাজ করে থাকেন। এই মন্ত্রণালয় বিপুলসংখ্যক কর্মীকে বেতনসহ ছুটিতে পাঠানো এবং বরখাস্তের নোটিশ পাঠানো শুরু করতে পারে বলেও সাবেক এই মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।

খসড়া নির্বাহী আদেশে নিয়োগপ্রত্যাশী কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে মতের মিল থাকা’— এ ধরনের নতুন কিছু মানদণ্ড ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

খসড়া আদেশে বলা হয়েছে, নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অবশ্যই ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। ‘নীতি প্রণয়ন ও পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা’ গ্রহণ করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট সই করার আগে নির্বাহী আদেশের বিষয়বস্তুতে পরিবর্তনও আসতে পারে। গতকাল রোববার দিনের শুরুতে তাৎক্ষণিক এই নির্বাহী আদেশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পররাষ্ট্র দপ্তর কিংবা হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট র কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য: তারেক

১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস।দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।”

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

তাদের দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে: তারেক রহমান 

সবকিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারেক রহমান সহসাই ফিরবেন: আমীর খসরু

তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। এটি জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য — ‘মানবাধিকার : আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য’।

এই বছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য মানবাধিকার রক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।

আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন-তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।

নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা নির্দয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়ণে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যারা এখনো নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সহমর্মিতা।

আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি-গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা। আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, দারিদ্র্য আজ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দারিদ্র্য দুরীকরণ একটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য।

‘মানবাধিকার দিবস’-এর এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোন বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ্য রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।

এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবার এগিয়ে আসতে হবে, জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মওলানা ভাসানী মজলুমদের পক্ষে ছিলেন, কখনো আপোষ করেননি: টুকু 
  • একটি দল ভোটের প্রয়োজনে আ.লীগের নাম মুখে নেয় না: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া
  • তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল
  • নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে, তত সহজ হবে না: তারেক রহমান
  • শরিক ২৯ দলের বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে দ্রুত ফয়সালার সিদ্ধান্ত
  • যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তত ইউক্রেন, বললেন জেলেনস্কি
  • একটি দলের কর্মীরা হেলমেট মাথায় দিয়ে মহড়া দিচ্ছে: এ্যানি
  • ‘তানিয়া রবের প্রচারণায় হামলা গণতন্ত্রের ওপর হুমকি’
  • মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য: তারেক