গাজীপুরে সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউন পুড়ে ছাই
Published: 3rd, May 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গোডাউনে শনিবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে। বয়জার লিমিটেড নামক সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা আশপাশের ১২টি ঝুটের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার কোনাবাড়ীর মেট্রো থানার দেহলাবাড়ি বেলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটে ঘটনাস্থলে যায়। পরে গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় সুতা তৈরির কারখানা ও জুটের গোডাউনের আশপাশে শত শত বাসাবাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসার মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায় বাসিন্দারা। আগুনের কালো ধোয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়।
তবে একটার দিকে দমকা হওয়া বয়ে যাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। দেড়টার দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর আগুনের তীব্রতা কমতে থাকে। এসময় আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউনের মালিক আসাদুল ইসলাম, রুস্তম আলী, তানভীর হাসান, ইসমাইল হোসেনেরসহ ১২টি গোডাউনে রাখা ঝুট, সুতা ও মালামাল পুড়ে যায়।
স্থানীয় আসাদুজ্জামান ও রুস্তম হোসেন বলেন, প্রত্যেক ঝুটের গোডাউনে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন আমাদের আর কিছুই নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে ব্যবসা শুরু করেছিলাম।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১১টার দিকে বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ শুরু করেন। পরে গাজীপুর থেকে আরো তিন ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। দুপুর দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন আগ ন ন ভ ন র আগ ন র ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।