রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা কেন নিজেদের খেলোয়াড়দের শিষ দেয়
Published: 4th, May 2025 GMT
চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল কিলিয়ান এমবাপ্পের (৩৪টি), যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের (২১) চেয়ে দেড় গুণের বেশি। অথচ এপ্রিলেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে টানা দুটি ম্যাচে গ্যালারি থেকে শিস শুনতে হয়েছে তাঁকে।
এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন বছরখানেক আগে। এমন অভিজ্ঞতা নতুন। তবে রিয়াল মাদ্রিদে খেলে যাওয়া অনেক কিংবদন্তিই জানেন, এই ক্লাবের সমর্থকেরা কখনো কখনো রূঢ় হয়ে ওঠেন। তাঁরা শিস দেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ইকার ক্যাসিয়াস, গ্যারেথ বেল কিংবা গত শতাব্দীর আলফ্রেডো ডি স্টেফানো—সবাইকেই কখনো না কখনো রিয়াল সমর্থকদের শিস সহ্য করতে হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ফুটবলে গ্যালারি থেকে দুয়ো দেওয়া হয়। স্পেনে দেওয়া হয় শিস। এই শিসের অর্থ, ‘তুমি বাজে খেলছ’, ‘তোমার খেলা ভালো লাগছে না’। এককথায় বললে খেলোয়াড়ের ওপর একধরনের চাপ তৈরির চেষ্টা থেকেই এই শিস দেওয়া। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য অনেক দলের তুলনায় রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা নিজেদের খেলোয়াড়দের এই চাপটা কেন বেশি দেন?
নিউইয়র্ক টাইমসের ক্রীড়া পোর্টাল দ্য অ্যাথলেটিক এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। মোটাদাগে দুটি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। একটি হচ্ছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, আরেকটি মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল খেলোয়াড়দের শিষ দেন রিয়াল সমর্থকেরা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচার দেখতে চায় খেলাফত মজলিস
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তোলা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগেই দৃশ্যমান সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। পেশিশক্তি, কালোটাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এগুলোর উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৩তম দফায় এক-এগারো সরকার ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংখ্যা থেকে অনেক কম।
এ ছাড়া ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে আলেম-উলামা ও ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৮ সালে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২১ জন মানুষকে হত্যা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান খেলাফত মজলিসের নেতারা। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, এসব বিষয় সংশোধন করে জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা না হলে তা অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি ও জাতির জন্য হতাশাজনক হবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।