ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত
Published: 6th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড ফিউচার অফ নার্সিং ইন জাপান অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ লেকচারের আয়োজন করা হয়।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো.
আরো পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার ২ প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ
বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদ এবং ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।
অতিথি বক্তা ছিলেন, জাপান ভিজিটিং নার্সিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. ইয়াওই তামুরা এবং মি প্রিফেকচুয়াল কলেজ অফ নার্সিং এর সভাপতি ডা. নোরিকো কাতাদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ড. দিলরুবা শারমিন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “জাপান আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। দেশের নার্সিং পেশার উন্নয়নে বাংলাদেশ এবং জাপানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে এ ধরনের লেকচার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহানগরে ব্যবসায়ী ও জেলায় ব্যাংক কর্মকর্তা প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমিটির তালিকা এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ দুটি কমিটির মেয়াদ রাখা হয়েছে আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত।
সিলেট মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে। এতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যবসায়ী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি নাগরিক কমিটি সিলেট মহানগরের সদস্য ছিলেন। এতে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে সাতজনকে। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ নুরুল হক, আদনান তৈয়ব, মুস্তাক আহমদ, কিবরিয়া সারওয়ার, নাঈম শেহজাদ, তারেক আহমেদ বিলাস ও আফজল হোসেন।
মহানগরের সমন্বয় কমিটিতে সদস্য আছেন ১৩ জন। তাঁরা হলেন কামরান জায়গীরদার, অনামিকা দেব, মোহাম্মদ নুরুল আবসার (বদরুল), সুলতান হোসেন মিজান, সাদী জামালী, ফুয়াদ হাসান, সজল আহমদ, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, নুরুল হুদা, মামুন রশীদ, জাকির হোসেন, সায়মন সাদিক জুনেদ ও নাজিম উদ্দিন।
যোগাযোগ করলে সদ্যঘোষিত মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন এক দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সহযোগিতায় সংগঠনকে গতিশীল করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাই।’
এদিকে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা, রোটারিয়ান ও সম্প্রতি গঠিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন শাহানকে। তিনি সামাজিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট বিভাগের সভাপতিও। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে ৬ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ২৪ জন সদস্য রাখা হয়েছে। যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন মেজর (অব.) মোস্তফা আনওয়ারুল আজিজ, ফয়সল আহমেদ, কামরুল হাসান আরিফ, আবু সাইদ, আহসান জাবুর ও সালমান খুরশেদ।
জেলা কমিটির সদস্যরা হলেন গোলাম আকবর, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া, আবু ইউসুফ, সালিম খান, শেখ জাবেদ আহমেদ, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান আতা, কমল রশিদ, আবদুর রহিম, শামসুল ইসলাম, শরীফ আহমদ, হিফজুর রহমান, ইমাম উদ্দিন, শিপন আহমদ শিপু, সিদ্দিকী আবুল আলা, নুরুল ইসলাম, ইবরাহিম নাহির, শামসুজ্জামান হেলাল, সোহেল আহমদ মুসা, গিয়াস উদ্দিন, কারুল হাসান, সুমেল মিয়া, মনিরুল সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।
যোগযোগ করলে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সবার নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা ঠাঁই পেয়েছেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের ভাই আহসান জাবুর যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।