এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুই প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ করল ইসি
Published: 7th, May 2025 GMT
তথ্য ফাঁস হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সেবা যাচাই প্রতিষ্ঠান (সার্ভিস পার্টনার) হিসেবে আনসার-ভিডিপি বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এর আগে সম্প্রতি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এনআইডির তথ্য ফাঁস হয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন- একই কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এমএফএস প্ল্যাটফর্ম, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস-এর সেবা স্থগিত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের যাচাই সেবা বন্ধ করা হলো।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কমিশন আপনাদের, আমাদের, সবার। আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। নিরাপদ রাখার স্বার্থে যখন আমরা যাচাই প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য সেবা ফাঁসের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছি- এ দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তখন আমরা সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যারা জড়িত বলে প্রতীয়মান হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে দেশের নাগরিকের তথ্য যা ইসিতে সংরক্ষিত তা রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডার থেকে সরকারি-বেসরকারি ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান নাগরিকের তথ্য যাচাই সেবা গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে পৃথক লিংকের মাধ্যমে এ সেবাটি দেওয়া হয়। সেবাগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান নাগরিকের এনআইডি নম্বর দিলে কমিশন এনআইডিতে প্রদর্শিত তথ্যগুলো দিয়ে থাকে। তবে এভাবে আর ঢালাও তথ্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনআইড এনআইড স ব আনস র ও ভ ড প
এছাড়াও পড়ুন:
টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বৃদ্ধের দৃষ্টান্ত
বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছোট দুটি শপিং ব্যাগ পান মো. মিজানুর রহমান (৬০)। ব্যাগ খুলে ভেতরে দেখেন একটি মোবাইল ফোন ও একটি ওয়ালেট। সেই সঙ্গে একটি এনআইডি। এর সূত্র ধরে ব্যাগের ভেতর থাকা ৫২ হাজার ৫০০ টাকাসহ সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সদরে ঘটে এই ঘটনা।
মিজানুর রহমান আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সামনের সড়কে মঙ্গলবার সকালে ব্যাগ দুটি পাই। মোবাইলের সঙ্গে টাকাভর্তি ওয়ালেট ছিল। ভেতরে এনআইডিতে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শামসু মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করি।’
পরে মিজানুর রহমান আখাউড়া পোস্ট অফিসের সামনে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন। আলমগীর দুটি ব্যাগের রংসহ ভেতরে কী কী ছিল তা বর্ণনা করেন। সব তথ্য মিলে যাওয়ার পর মিজানুর রহমান তাঁকে টাকা, মোবাইল ফোনসহ দুটি শপিং ব্যাগ বুঝিয়ে দেন।
এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সিয়াম সরকার। তিনি বলেন, ‘মিজান আঙ্কেল ব্যাগ দুটি পেয়ে আমাকে ডেকে বলার পর আমি ছবি তুলে ফেসবুকে দিই। পরে এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী অটোরিকশা করে আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। পরে তাঁর সবকিছু বুঝিয়ে দিই। মিজান আঙ্কেল খুব ভালো মনের মানুষ।’
টাকা হারিয়ে পাগলপ্রায় আলমগীর মিয়া। তিনি হারানো টাকা, মোবাইল ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আখাউড়ার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। এমন সময় বাড়ি থেকে ফোন আসে। এই সময়ে মিজানুর রহমানের মতো লোকের অভাব। তিনি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।