ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর পদত্যাগ, যুগ্ম সমন্বয়কারীকে সাময়িক অব্যাহতি

রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন (সিফাত) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাহিদুল ইসলাম সাজুর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। কেন স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কার করা হবে না, এর যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল-আমিনের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর এনসিপির নেতারা জানান, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে রাশেদুল ইসলামের রেস্তোরাঁয় নাহিদুল ইসলাম দলটির আরেক নেতা ফিরোজ আলমকে মারধর করেন। ফিরোজ জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী। আহত ফিরোজ আলম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে জেলা সমন্বয় কমিটির নেতারা প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের রেস্তোরাঁয় বসেছিলেন। এ সময় নাহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ আলমের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাহিদুল ইসলাম রেগে গিয়ে ফিরোজ আলমের বুকে লাথি মারেন। এসময় জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা নাহিদুলকে থামান। এরপর ফিরোজ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘এটা কোনো বিষয় না। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন নিয়ে কথা বলার জন্যই এই ষড়যন্ত্র।’

এদিকে গত ১৮ জুন রাতে এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২৫ সদস্যের জেলা কমিটিতে পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী। রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম কমিটি অনুমোদনের আট দিনের মাথায়  বৃহস্পতিবার রাতে পদত্যাগ করেছেন।

ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্রে রাশেদুল লিখেছেন, ‘আমি এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি। এনসিপির ব্যানারে দলের সেবা করা এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করা আমার জন্য সম্মানের ও সৌভাগ্যের। জেলা ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাকে যে আস্থা, সমর্থন ও সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এই মুহূর্তে আমাকে আমার ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’

এনসিপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদুল চিঠিতে আরও লেখেন, এই পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি রাজশাহীতে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও সংগঠনের অগ্রগতির সর্বোত্তম স্বার্থে নিয়েছেন।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে রাশেদুল ইসলামকে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি অন্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা জানি না। আমি কোনোদিন রাজনীতি করিনি। হঠাৎ এসে মনে হচ্ছে, এত বড় পদ আমার জন্য না। তবে আমি এখনও এনসিপির সঙ্গে আছি। এনসিপির ভালোটাই চাই। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ